চতুর্থ প্রার্থীকে জেতাতে বিরোধী বিধায়কদের দলে টানার অনৈতিক চেষ্টা তৃণমূলের, অভিযোগ
অভিযোগ ওঠার কারণ, এক বাম বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর ভোট যাবে শাসক পক্ষের কাছে। দুই কংগ্রেস বিধায়কও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের ভোট যাবে ঘাসফুলেই। গল্প এখানেই শেষ নয়। রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন দুই বাম বিধায়ক। বা হতে পারে গা ঢাকা দিয়েছেন। একজনের নামে তো নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করা হয়েছে থানায়। এমনকী তিন বাং বিধায়কের অভিযোগ তাঁদের টাকার লোভ ও প্রাণের হুমকি দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল।
রাজ্যসভা সদস্য নির্বাচন নিয়ে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। তবে বিধায়ক নিখোঁজ, বাম নেতার তৃণমূলে আস্থা বামশিবিরে ভাঙণ ধরানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন দুই বাম বিধায়ক
অঙ্কের হিসাব বলছে, যে পাঁচটি আসন নিয়ে নির্বাচন হবে তার চারটিতে কোনও জটিলতা নেই। কারণ প্রত্যেক প্রার্থীর ৪৯টি বিধায়কের সমর্থন লাগবে, সেক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী,কে ডি সিং ও যোগেন চৌধুরি এবং সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে জয় কার্যত নিশ্চিত। সমস্যা পঞ্চম আসনটি নিয়ে।
পঞ্চম আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আহমেদ হাসান ওরফে ইমরান। অন্যদিকে কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী আহমেদ সৈয়দ মালিহাবাদি। নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বামফ্রন্ট। এদিকে পঞ্চম আসনে জিততে যে সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন লাগবে তার চেয়ে জনা চার-পাঁচেক কম রয়েছে তৃণমূলের কাছে। এই অবস্থায় নির্দল প্রার্থীকে কংগ্রেসের ৩৮ ও বামেদের উদ্বৃত্ত ১২ বিধায়ক ভোট দিলে ইমরানের হার নিশ্চিত। সেই অঙ্কটা পাল্টে দিতেই বিরোধী বিধায়ক শিবিরে তৃণমূল ভাঙনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য ও বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন,ফরওয়ার্ড ব্লকের সুনীল মণ্ডল,আরএসপির দশরথ তিরকে ও অনন্তদেব অধিকারীর সঙ্গে হাজার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সিপিএম নেতা রবীন দেবের অভিযোগ, নির্বাচনে নিজের প্রার্থীকে জেতাতে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বাম বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
মালদার কংগ্রেস বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরি তৃণমূলের প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর,কংগ্রেস বিধায়ক সুশীল রায়ও তাদের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।