ব্যালট বক্স বহনকারীদের হাতে রঙিন ফিতে বাঁধার নিদান, কোথায় হল এমন
ব্যালটবক্স বহনকারীদের হাতে বাঁধা থাকবে ফিতে। আর যাঁদের হাতে সাদা, গোলাপি, হলুদ রঙের ফিতে থাকবে তাঁরাই বৈধ ব্যালট বক্সবহনকারী হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাকে কেন্দ্র করে চরম নিরাপত্তা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় ব্যালট লুঠ ও পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা এরাজ্য দেখেছে। সেই সমস্ত ঘটনার পুরনাবৃত্তি যাতে নির্বাচনী গণনার সময় না হয় , সেদিকে নজর রেখে বিশেষ নিদান দিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে , ওই জেলায় ব্যালটবক্স বহনকারীদের হাতে বাঁধা থাকবে ফিতে। আর যাঁদের হাতে সাদা, গোলাপি, হলুদ রঙের ফিতে থাকবে তাঁরাই বৈধ ব্যালট বক্সবহনকারী হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
বাঁকুড়ার বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রের প্রবেশপথের মুখেই বসছে মেটাল ডিটেক্টর। ফলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেউ গণনাকেন্দ্র ঢুকতে পারবেন না । উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন বাঁকুড়ার একাধিক জায়গায় ছাপ্পাভোট, ব্যালট লুঠ, ছিনতাই, বুথ দখলকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর আসতে থাকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাঁকুড়ার মোট ৫ টি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন সংগঠিত হয়। এরপর আজ ত্রিস্তরীয় পর্যায়ে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু হয় সেখানে। ব্যালট বক্স বহনকারীদের জন্য রয়েছে হাতে ফিতে বাঁধার নিদান। উল্লেখ্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে সাদা ফিতে, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে গোলাপী ফিতে ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে হলুদ ফিতে থাকছে। ব্যালটবাক্স বহনকারীদের হাতে ফিতে বাঁধবার বিশেষ নির্দেশ ছাডা়ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
নিয়ম মেনে গণনাকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার এলাকায় কোনও জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। গণনার আগের দিন থেকে যে সমস্ত এলাকায় ভোটগণনা কেন্দ্র রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে প্রার্থী ও ভোট কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকছে জালের খাঁচা।