বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে পাওয়া পায়ের ছাপ বাঘেরই, এলাকায় আতঙ্ক
বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে পাওয়া পায়ের ছাপ বাঘেরই, এলাকায় আতঙ্ক
বাঁকুড়া জেলার বারিকুল এলাকায় ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের কাকোর লক্ষ্মণপুর এলাকায় যে পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে তা বাঘের বলেই নিশ্চিত বন বিভাগের আধিকারিকরা। গত দুদিনে এই এলাকায় জন্তুর পায়ের ছাপ দেখে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে পায়ের ছাপ পাওয়া যায় তার নমুনা সংগ্রহ করে দেখে বন বিভাগের আধিকারিকরা নিশ্চিত যে এই পায়ের ছাপ এক বাঘিনীর। তার সঙ্গে একটি বাঘের বাচ্চাও আছে।
এই ছাপ যে বাঘের তা নিশ্চিত হয়ে এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভোরে ও সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে যেতে, বিশেষ করে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে এই এলাকার লোকজনকে। কারোর কোন গবাদি পশু পাওয়া না গেলে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের কর্মীদের জানাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া (দক্ষিণ) বন বিভাগের আধিকারিক দেবাশিস মহিমা প্রসাদ প্রধান। বারিকুল, খেজুরখন্না, ফুলকুসমা এলাকার মতো লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের কাকো, শিলদা এলাকায় নজরদারি বাড়াচ্ছে বনবিভাগ।
এই এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে বাঘের হদিশ পেতে ট্রাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে বাঘটিকে ধরতে বা খাঁচা বন্দি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই জন্য এলাকায় আনা হচ্ছে সুন্দরবন এলাকার বন বিভাগের কর্মীদের।
২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় এলাকায় বাঘের সন্ধান পাওয়া যায়। জঙ্গলের মধ্যে ক্যামেরা বসিয়ে একটি রয়াল বেঙ্গল টাইগারের হদিশ পাওয়া যায়। সেটা ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হলেও তাতে বাঘ ধরা দেয়নি। ওই বছর এপ্রিল মাসে মেদিনীপুরের কাছে বাগঘরা এলাকায় জঙ্গলে শিকার করতে যাওয়া লোকজন এই বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এই বার যাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা।
'হাড়হিম করা' দিল্লির ঘটনা 'কণ্ঠরোধ'এর চেষ্টা মোদী সরকারের! JNU নিয়ে সোনিয়ার হুঙ্কার