পাহাড়ে হিংসায় বিদ্রুপ-বিক্ষোভের ভয়, বিধানসভা ‘বয়কট’ মোর্চা বিধায়কদের
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন বিধানসভায় ভোট দিতে এসে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় পাহাড়ের তিন বিধায়ককে। পাহাড়ে অশান্তি-র জন্য তাঁদের দিকে আঙুল তোলা হয়।
পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জঙ্গি-আন্দোলন অব্যাহত। এখনও অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেনি মোর্চা। এখনও নিয়মিত আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। এমতাবস্থায় বিধানসভার আসতে 'ভয়' পাচ্ছেন পাহাড়ের বিধায়করা। সেই কারণেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে মোর্চার তিন বিধায়ক জানালেন, আসন্ন বাদল অধিবেশনে তাঁরা যোগ দিতে অপারগ। কারণ তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন বিধানসভায় ভোট দিতে এসে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় পাহাড়ের তিন বিধায়ককে। পাহাড়ে অশান্তি-র জন্য তাঁদের দিকে আঙুল তোলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। বিধানসভার মধ্যেই তুমুল বাক-বিতণ্ডা বেধে যায় তাঁদের মধ্যে। পরেশবাবু সরাসরি আক্রমণ করে বসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষকেও।
এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যই এবার বাদল অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাহাড়ের তিন বিধায়ক অমর সিং রাই, সরিতা রাই ও রোহিত শর্মা। মোর্চা বিধায়ক অমর সিং রাই জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি লেখা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে এতদিনে পরিস্থিতিরও বদল হয়নি আদৌ। তাই বিধানসভার বাদল অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে কি মোর্চা বিধায়করা ঘুরিয়ে অধিবেশন বয়কট করার রাস্তা নিলেন? উত্তরে অমর সিং রাই বলেন, 'আমরা বিধানসভা বয়কট করছি না। আমাদের বিধানসভায় যাওয়ার মতো উপায় নেই। আমরা ঠিক করেছি পাহাড় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভায় যাব না।'