তিন মোর্চানেতাকে ট্রানজিট রিমান্ডে পাহাড়ে আনছে সিআইডি, হুঙ্কার গুরুংয়ের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককে টার্গেট করেই গুরুগ্রাম থেকে মোর্চা নেতাদের গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তা ভালোভাবে নিচ্ছেন না মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
গুরুগ্রাম থেকে ধৃত তিন গুরুং-ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠককে টার্গেট করেই গুরুগ্রাম থেকে মোর্চা নেতাদের গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তা ভালোভাবে নিচ্ছেন না মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তিনি অডিও বার্তায় হুঙ্কার ছেড়ছেন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে। গুরুং জানিয়েছেন, রাজ্য-প্রশাসনকে এর মাশুল গুণতে হবে।
শুক্রবার রাতেই ধৃতদের কলকাতায় আনা হয়। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছে ধৃত দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান ডিকে প্রধান, পিটি ওলা ও তিলকচাঁদ রোকাকে। তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাবেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখানে নিয়ে গিয়েই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে গত ৮ জুন দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগেই কার্শিয়াংয়ের পুরপ্রধান কৃষ্ণা লিম্বুকে আগে গ্রেফতার করা হয়। এবার পুলিশি জালে ধরা পড়লেন দার্জিলিংয়ের পুরপ্রধান। ধৃত তিনজনেই মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
এই তিনজনেই সিকিমের নামচিতে গুরুংয়ের ডাকা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এঁদেরকেই গুরুংয়ের দূত হিসেবে পাঠানো হয়েছিল রাজনাথ সিংয়ের কাছে। ছিলেন মোর্চা সম্পাদক রোশন গিরিও। তিনি কোনওরকমে পালিয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে মোর্চা নেতাদের বৈঠক ভালো চেখে নেয়নি। তাই বৈঠকের পরই সিআইডি টার্গেট করে মোর্চা নেতৃত্বকে। এবং তাঁদের পাকড়াও করতে সমর্থ হয়। এরপরই হুঙ্কার ছাড়েন গুরুং।