জীবন বাজি! তেলের ব্যারেল আর বাঁশ নিয়ে মাঝ সমুদ্রে রুদ্ধশ্বাস লড়াই তিন তরুণের
মাঝ সমুদ্রে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। সহায় একটা মাত্র ব্যারেল। তেলের সেই ব্যারল ধরেই জীবনযুদ্ধ জিতে ফিরলেন তিন তরুণ।
মাঝ সমুদ্রে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। সহায় একটা মাত্র ব্যারেল। তেলের সেই ব্যারল ধরেই জীবনযুদ্ধ জিতে ফিরলেন তিন তরুণ। ট্রলার ডুবিতে একপ্রকার জীবনের আশা ছেড়েই তিন তরুণ মৎস্যজীবী সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। সব আশা যখন শেষ একটা ব্যারেল ধরে তিনজন প্রাণপণ চেষ্টা করেন পুনরায় বেঁচে ফিরে আসার।
জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত তাঁরা লড়বেন, তা পণ করেছিলেন তিনজনেই। শেষপর্যন্ত তাঁদের লড়াই বৃথা যায়নি। দিঘার অদূরে শঙ্করপুরের সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবি হয়। পাঁচ মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে যান। পাঁচজনেই প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফিরলেন। তাঁদের মধ্যে এই তিনজনের বীরত্বের কাহিনি একটু অন্যরকমই।
মঙ্গলবার ভোরে মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচ মৎস্যজীবী। শুকদেব মাঝি, বিকাশ দাস, গৌর বর্মন, নন্দকুমরা নন্দ ও স্বদেশ। শঙ্করপুর থেকে ১০ নটিক্যাল দূরের সমুদ্রের মাঝে খারাপ হয়ে যায় তাঁদের বোট। প্রবল ঢেউয়ে ফুটো হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। তখন বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে।
রাতের অন্ধকারেই তাঁরা ঝাঁপ দেয় সমুদ্রে। তেলের খালি ব্যারেল আর বাঁশকে হাতিয়ার করে তাঁরা লড়াই চালাতে শুরু করে। এই অবস্থায় শুকদেব, নন্দ আর বিকাশ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে উঠতে সক্ষম হন। ইতিমধ্যে বাকি দুজনও জানান, তাঁরা একটি ট্রলার তাঁদের উদ্ধার করেছে। তাঁরা অক্ষত রয়েছে। সোমবারই তাঁরা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পুলিশকে তাঁদের বেঁচে থাকার খবর জানান।
[আরও পড়ুন: সকালে বাড়ি ভেঙে আতঙ্ক! বউবাজারে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু]