বিরোধীদের ভোট দিলেই ধর্ষণের শিকার হতে হবে! হুমকি পোস্টার ঘিরে তোলপাড় চন্দ্রকোনায়
'আমরা ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বিধানসভায় ক্ষমতায় থাকব। ভোটের পরে তোমাদের আমরা ঘর ছাড়া করে দেব। বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেব। তোমাদের সব কাজ বন্ধ করে দেব'।
'আমরা ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বিধানসভায় ক্ষমতায় থাকব। ভোটের পরে তোমাদের আমরা ঘর ছাড়া করে দেব। বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেব। তোমাদের সব কাজ বন্ধ করে দেব'। এমনই হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টারে কয়েকজন মহিলার নাম দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম দিয়ে লেখা হয়েছে যে, ভোট মিটলেই তাঁদের ধর্ষণ করা হবে। তাঁরা যদি ভোটও দিতে যান, তাহলে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে। পোস্টারে এমন দাবির পাশাপাশি লেখা রয়েছে 'আমরা ৪২ এ ৪২ পাব।'
এই রকম হুমকি পোস্টার দেওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দ্রকোনা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, ওই পোস্টার দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের তরফে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে হলেও তা আরামবাগ লোকসভা এলাকার অন্তর্গত। এই এলাকাতে ভোট পর্ব আগামী ৬মে। তার আগে এমন পোস্টার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী , আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তপন রায় । ২০০৯ সালে আরামবাগের সাংসদ হয়েছিলেন সিপিএমের শক্তিমোহন মালিক। ২০১৪ সালে তাঁকে হারিয়েই জিতেছিলেন অপরূপা পোদ্দার। এবারও শক্তিমোহন মালিককেই প্রার্থী করেছে বামেরা। ভোট গ্রহণের আগে চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা এলাকার একটি কিষাণ মান্ডি চত্বরে বেশ কয়েকটি পোস্টার পাওয়া যায় । যে সব পোস্টারে বেশ কয়েকজনের নাম লেখা ছিল। যাঁদের নাম লেখা আছে তারা এলাকাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থক বলে পরিচিত।
স্বাভাবিকভাবেই
ওই
পোস্টার
নিয়ে
ব্যাপক
হইচই
পড়ে
যায়
ওই
এলাকায়।
বিজেপি
এই
ঘটনায়
তৃণমূল
কংগ্রেসকে
অভিযুক্ত
করেছে।
বিজেপি
নেতা
রতন
দত্তের
দাবি,
'ভোটের
আগে
তৃণমূল
কংগ্রেস
এলাকায়
ভয়ের
পরিবেশ
তৈরি
করতে
চাইছে।
তাই
তারা
এই
রকম
পোস্টার
দিয়েছে।'
এ
নিয়ে
নির্বাচন
কমিশনে
অভিযোগ
জানানো
হয়েছে
বলেও
জানিয়েছে
বিজেপি
নেতারা
।
হুমকি
পোস্টারের
খবর
পেয়ে
এলাকায়
পুলিশ
যায়।
জেলা
প্রশাসন
জানিয়েছে
তারা
এই
ঘটনার
তদন্ত
শুরু
করেছে
এবং
কারা
ওই
পোস্টার
দিয়েছে
তার
খোঁজ
করা
হচ্ছে।
বিজেপি
ওই
এলাকায়
কেন্দ্রীয়
বাহিনীকে
দিয়ে
রুটমার্চ
করানোর
দাবি
তুলেছে।
বিজেপির আশঙ্কা, ভোটের আগেই যখন এই ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তখন ভোটের পরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। তখন আক্রান্ত হতে পারেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। সেই কারণে ভোটের পরও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবি তুলেছে বিজেপি।
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হীরালাল ঘোষ। তার অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা প্রচারে আসার জন্যই এসব করছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে।