রায়গঞ্জে চার মহিলার উপর যৌন নির্যাতন, প্রতিবাদে যে ভাষায় গর্জে উঠল আদিবাসী সম্প্রদায়
রায়গঞ্জ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাসস্ট্যান্ডের বিশ্রামাগার থেকে দিনদুপুরে এক শিক্ষিকা-সহ চার আদিবাসী তরুণীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
চার আদিবাসী মহিলার উপর যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে গর্জে উঠল রায়গঞ্জ। শুক্রবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা রায়গঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তির ধুনক নিয়ে মিছিল করে। তাদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাসস্ট্যান্ড চত্বর। ভাঙচুর চালানো হয় শ্রমিক সংগঠনের অফিস ও দোকানপাটে। অগ্নিসংযোগও করা হয়। শুক্রবার দিনভর দফায় দফায় জ্বলতে থাকে এলাকা।
রায়গঞ্জ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডের বিশ্রামাগার থেকেই দিনদুপুরে এক শিক্ষিকা-সহ চার আদিবাসী তরুণীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বিশ্রামাগারেরই ছাদের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর ঘণ্টা আড়াই ধরে নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। এরপর দু'জন মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তাদের গাজল থেকে উদ্ধার করা হয়। রবিবারের এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে।
সামগ্রিক ঘটনার প্রতিবাদে এদিন গর্জে ওঠেন আদিবাসীরা। রায়গঞ্জের চণ্ডীতলা মোড় থেকে শুক্রবার বের হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বিশাল মিছিল। সবার হাতেই তির-ধনুক। কয়েক হাজার মানুষের সেই মিছিল রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর পর রীতিমতো তাণ্ডব চলে। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় ওই কার্যালয় ও আশেপাশের দোকানঘরগুলিতে। ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাইক ও চার চাকা গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে অফিস, দোকান, বাইক, গাড়ি। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।