জুম্মার নামাজে ‘থোড়াই কেয়ার’ লকডাউন! উপচে পড়া ভিড় মুর্শিদাবাদের মসজিদে
জুম্মার নামাজে ‘থোড়াই কেয়ার’ লকডাউন! উপচে পড়া ভিড় মুর্শিদাবাদের মসজিদে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সচেতনতার প্রচারে খামতি নেই কোনও সরকারের। কী মোদী সরকার, কী মমতার সরকার- উভয়েই চেষ্টা করছে লকডাউনকে একশো শতাংশ সফল করতে। কিন্তু লকডাউনকে থোড়াই কেয়ার মনোবাব দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এবার সেই মানসিকতা দেখা গেল মুর্শিদাবাদে।
ভিড় উপচে পড়ল জুম্মার নামাজে
ধর্মগুরুদের নির্দেশ অমান্য করেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এক মসজিদে ভিড় উপচে পড়ল জুম্মার নামাজ পড়তে। এক নিজামউদ্দিনের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ মাশুল দিচ্ছে, তারপর জুম্মার নামাজে এহেন ভিড় ভাবিয়ে তুলবে মানুষকে। বড়ঞার গোপীপুরের মসজিদ না আবার এক নিজামউদ্দিন হয়ে যায়!
ভিড় সামলাতে হিমশিম খেল পুলিশ
এদিন গোপীপুরের মসজিদে নমাজের জমায়েত সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। কান্দির এসডিপিও নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় শেষপর্যন্ত জমায়েত ভঙ্গ হয়। পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয় লকডাউ চলছে, করোনা থেকে বাঁচতে সবাইয়ের সচেতন থাকা জরুরি। এই অবস্থায় নামাজের জমায়েত বন্ধ করা জরুরি।
আবেদন সত্ত্বেও জমায়েত মসজিদে
প্রশাসনিক প্রধানরা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এই মর্মে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে কোনও অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে জমায়েত না করা হয়, ঠিকমতো মেনে চলা হয় সামাজিক দূরত্ব, সেই আর্জি জানানো হয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি মান্যতা দেয় এই আবেদনের।
ফের প্রশ্ন তুলে দিল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই ভক্তদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়। নামাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইমমরা ঘোষণা করেন বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে। কিন্তু লকডাউন ভেঙে এদিন নামাজের জমায়েত ফের প্রশ্ন তুলে দিল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে।
ইমামকে ডেকে কঠোর হুঁশিয়ারির বার্তা
জুম্মার নামাজের জমায়েতের খবর শুনেই এসডিপিও কুমার সানি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তখন মসজিদে হাজারো লোকের জমায়েত। কোনও সমাজিকস দূরত্বের বালাই নেই। মুখেও মাস্ক নেই। এরপর এসডিপিও ছত্রভঙ্গ করে দেন জমায়েতের। ইমামকে ডেকে কঠোর হুঁশিয়ারির বার্তাও দেন এসডিপিও।