ফের জুম্মার নামাজে উপচে পড়া ভিড়! করোনা সচেতনতার অভাব এবার হুগলিতে
জমায়েত বন্ধ করতে চেষ্টার কসুর করছে না প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুনয়-বিনয় করে চলেছেন। শেষমেশ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবু বন্ধ হচ্ছে না জমায়েত।
জমায়েত বন্ধ করতে চেষ্টার কসুর করছে না প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুনয়-বিনয় করে চলেছেন। শেষমেশ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবু বন্ধ হচ্ছে না জমায়েত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ তা শুনলেও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছেন কেউ কেউ। লকডাউ উপেক্ষা করে আবারও মসজিদে জমায়েত হলেন বেশ কিছু মানুষ।
মুর্শিদাবাদের পর হুগলির চুঁচুড়া
হুগলির চুঁচুড়ার তালডাঙা মোড়ের জুম্মা মসজিদে এবার ঘটল জমায়েতের ঘটনা। এর আগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় ঘটেছিল নামাড়ের ভিড়। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিল চটজলদি। চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে, তাঁরা সবাইকে একে একে বেরিয়ে আসতে বলেন।
সচেতনতার পাঠ পুলিশের
কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ অভয় দেয় কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। এই আশ্বাস পেয়ে সবাই বেরিয়ে আসেন মসজিদের ভিতর থেকে। পুলিশের তরফে তাঁদের ফের একবার সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয় এই করোনা পরিস্থিতিতে। তাঁদের অনুরোধ করা হয় জমায়েত না করার জন্য।
লকডাউনকে মান্যতা দেওয়ার আহ্বান
এদিন পুলিশ লকডাউনের উপকারিতা নিয়ে তাঁদের সবাইকে বোঝান। মসজিদের ইমাম এরপর পুলিশকে আশ্বস্ত করেন, লকডাউ চলাকালীন পুনরায় জমায়েত করবে না কেউ। ইমাম এই আশ্বাস দেওয়ার পুলিশ উপস্থিত সবাইকে করোনা লকডাউনকে মান্যতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফিরে যায়।
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি
এর আগে ধর্মগুরুদের নির্দেশ অমান্য করেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এক মসজিদে ভিড় উপচে পড়ল জুম্মার নামাজ পড়তে। দিল্লির নিজামউদ্দিনের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ মাশুল দিচ্ছে, তারপর জুম্মার নামাজে এহেন ভিড় ভাবিয়ে তুলেছিল মানুষকে। বড়ঞার গোপীপুরের মসজিদের সেই কাণ্ডকারখানা থেকেও শিক্ষা নেয়নি মানুষ, ফের হুগলিতে দেখা গেল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।