স্ট্রেচারে শুয়েও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি কুণালের, সুইসাইড নোটে মুখ্যমন্ত্রীর নাম
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিবিআই অধিকর্তার উদ্দেশে লেখা সুইসাইড নোটে সারদাকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়, মদন মিত্রর মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রেডিসেন্সি জেলে তাঁর সেল থেকে বাংলায় লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চিঠিতে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম সান্যাল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, স্বপনসাধন বসু ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে চিঠিতে কারও বিরুদ্ধেই কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করা নেই বলেও সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কুণাল ঘোষের, অবস্থা আশঙ্কাজনক
এদিকে এসএসকেএম সূত্রের খবর গতকালের পরিস্থিতির তুলনায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েতে কুণাল ঘোষের। আচ্ছন্ন ভাব অনেকটা কেটেছে। কথাও বলছেন তিনি। সকাল ১১ টা নাগাদ সিসিইউ থেকে বের করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিউরোলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্য়াম্বুল্যান্সে তোলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আবারও বলেন, আসল দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। দোষীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।"
এদিকে কুণাল ঘোষের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে যে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, আজ তারা ফের কুণালের সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে বসবে। তাঁকে আপাতত হাসপাতালেই রাখা হবে নাকি জেলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে তা আজকেই ঠিক করা হবে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, কুণাল নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি ৫৮টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, তিনি যত দাবি করছেন তত না খেলেও ৩০ টি মতো ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন তিনি।