এটা শুধুই পূর্বাভাস, শেষের শুরু ওদের! বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েই দিলীপ-শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি 'চাণক্যে'র
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিজেপিতে বিদ্রোহ! একের পর এক নেতা বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ভোটের আগে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা বিজেপিতে এসেছিলেন তারাও এখন মুখ ফিরিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিজেপিতে বিদ্রোহ! একের পর এক নেতা বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ভোটের আগে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা বিজেপিতে এসেছিলেন তারাও এখন মুখ ফিরিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
আর এই অস্বস্তির মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। আর তাঁর দলবদলের পরেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন আরও বিজেপি নেতারা। তালিকায় বিধায়ক-সাংসদরাও রয়েছেন।
বিজেপিতে প্রথম ভাঙন ধরালেন মুকুল!
গত কয়েকদিন আগেই ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। আর এরপরেই দলবদলের খেলা শুরু। উত্তরবঙ্গে প্রথম ভাঙন ধরালেন চাণক্য। এবার আলিপুরদুয়ার জেলায় একটা আসনও পায়নি তৃণমূল। আর সেই সংগঠনেই ভাঙন ধরালেন প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা। মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন আলিপুরদুয়ার বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। বিজেপি ছাড়লেন আরও সাত নেতা। যা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির কাছে। বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে হুঁশিয়ারি মুকুলের!
এটা পূর্বাভাস...!
এটা নাকি পূর্বাভাস...। বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে কার্যত দিলীপ-শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি মুকুল রায়ের। তাঁর দাবি, এটা শেষের শুরু। রাজনৈতিক ভাবে এহেন হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। বিরোধী শিবিরকে ভাঙার খেলা প্রথম এই রাজ্যে মুকুল রায় শুরু করেছিলেন। কংগ্রেস-সিপিএমের একাধিক বিধায়ক মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। বিজেপিতে যোগ দিয়েও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন মুকুল। তৃণমূলকে শেষ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি এখন অতীত। তৃণমূলে ফিরেছেন। আর সেখানে ফিরেই দলবদলের খেলা শুরু।
১০ বিধায়ক-দুই সাংসদকে ফোন
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার রাতেই একের পর এক বিধায়কের কাছে গিয়েছে মুকুলের ফোন। বিজেপি সূত্রের খবর, ১০ বিজেপি বিধায়ককে এখনও পর্যন্ত ফোণ করেছেন মুকুল। রয়েছেন দুই সাংসদও। যার মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের সাংসদও রয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের একটী নামের তালিকা মুকুল রায় তৈরি করেছেন। যারা ধীরে ধীরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে দাবি মুকুল ঘনিষ্ঠ সূত্রের। ফলে নিঃসন্দেহে ঘর ভাঙার আতংকে রয়েছেন দিলীপ ঘোষরা।
মমতার সবুজ সঙ্কেত! অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক
মুকুল রায়ের যোগদানের পরেই মমতা জানিয়ে দেন কাদের কাদের নেওয়া হবে আর কাদের না। ভোটের সময় যারা তৃণমূলের নামে কুৎসা করেছেন তাঁদের নেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন, মুকুল জখন চলে এসেছে তৃণমূলে তখন অনেকে তাঁর সঙ্গে আসতে চাইবেন। সেটা দল দেখে নেবে। আর এরপরে তালিকা নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুকুল রায়। চিলেন শুভ্রাংশুও। সেখানেই কারা কারা তৃণমূলে ফিরছেন সেই তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
কেউ যাবে না!
তবে আতঙ্ক বুঝতে দিচ্ছেন না দিলীপ ঘোষরা। বারবার তাঁর দাবি, কেউ ছেড়ে যাবে না। আবার এও বলছেন, চর্বি যত ঝড়ে যায় তত ভালো। ফলে ঘর ভাঙার আতঙ্ক পষ্ট। অন্যদিকে , শুভেন্দুও দাবি করেন যে, যারা যাচ্ছেন তৃণমূলে তাদের সঙ্গে ভোটের কোনও যোগ ছিল না। তবে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে রাজ্যে দল বিরোধী আইন কার্যকর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। ফলে চ্যালেঞ্জ দুপক্ষের কাছেই। এখন দেখার কি হয় শেষে।