এটা নতুন তৃণমূল, ধমকে চমকে ভোট নয়! বউবাজারে দাঁড়িয়ে দিল্লি দখলের ডাক অভিষেকের মুখে
সামনেই কলকাতা পুরভোট। আর এই ভোটকে সামনে রেখেই নেতা-কর্মীদের একের পর এক কড়া বার্তা। কখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আবার কখনও অভিষেকের মুখে কর্মীদের বার্তা। সেখানে দাঁড়িয়ে এবার মধ্য কলকাতায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে নতুন তৃণমূলের স্বপ্ন দেখালেন অভিষেক।
শুধু বাংলায় নয়, এই তৃণমূলের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে রয়েছে বলেও বার্তা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের মুখে।

জোরকদমে প্রচার
আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট রয়েছে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে। একেবারে প্রচারে শেষলগ্নে কলকাতা জুড়ে ঝড় তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং শহরের অন্য প্রান্তে রীতিমত বিজেপিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে দুজনেই তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরলেন। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প এবং সুবিধার কথা শোনা যায় মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন একধাপ এগিয়ে অভিষেক কলকাতার মানুষকে নতুন তৃণমূলের স্বপ্ন দেখালেন। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপি সরকারকে উৎখাত করবে
এদিন অভিষেক র্যালি শেষে বউবাজারে বক্তব্য রাখেন। বলেন, তৃণমূল এখন শুধু বাংলার দল নয়, গন্ডি ছাড়িয়ে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়তেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এই তৃণমূল নতুন তৃণমূল। যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের মানুষ। আর একদিন এই তৃণমূলই দিল্লি থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করবে। অন্যদিকে নতুন তৃণমূলের বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক আরও বলেন, কেউ যদি ভাবেন দল করে খাবেন তাঁদের সোজা বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হবে। আগে যেভাবে থেকেছেন সেভাবে আর থাকা যাবে না বলেও কর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা অভিষেকের।

ধমকে চমকে ভোট নয়
আগেই দলের বৈঠকে অভিষেক প্রার্থীদের কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ভোট দেওয়ার জন্যে কাউকে জোর করানো যাবে না। আজ ফের একবার স্পষ্ট বার্তা তাঁর। প্রচার মঞ্চ থেকেই অভিষেক বলেন, নতুন তৃণমূল। এখানে ধমকে চমকে ভোট করানো যাবে না। ফলে মানুষ যাতে শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিতে পারে সেটা দেখতে হবে বলে দাবি তাঁর। একই সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিকে কটাক্ষ করে বলেন, ওরা বাহিনী মোতায়েন করুন। আমরা স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোটের পক্ষে।

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে চায়!
শুধু বাংলাতে নয়, দেশের একাধিক রাজ্যে নিজেদের জায়গা শক্ত করছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজেদের একটা জায়গা শক্ত করতে চান অভিষেক এন্ড কোং। সেখানে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের হাতে কোনও অস্ত্র তুলে দিতে নারাজ শাসক তৃণমূল। আর তাই প্রতি পদক্ষেপে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন অভিষেক। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের। কোনও জায়গাতেই যাতে বিরোধিরা বলার সুযোগ না পান সেদিকেই নজর তাঁর। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের মানুষের সামনে তৃণমূল সম্পর্কে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখতেও এহেন পদক্ষেপ বলে দাবি।
