অমিত শাহের নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু মুকুলের! বিজেপিতে প্রথম দায়িত্বের কথা স্মরণ করলেন 'চাণক্য'
অমিত শাহের নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু মুকুলের! বিজেপিতে প্রথম দায়িত্বের কথা স্মরণ করলেন 'চাণক্য'
২০২১-এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কঠিন লড়াই বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায় (mukul roy)। এদিন তিনি চাকদহে দলীয় সমাবেশে তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূলের (trinamool congress) বিদায় আসন্ন, দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।
এ লড়াই কঠিন লড়াই
এদিনের দলীয় সভা থেকে মুকুল রায় বলেন, এ লড়াই কঠিন লড়াই। মুকুল রায় জানেন, লড়াই কঠিন। চ্যালেঞ্জ রয়েছে তাঁর সামনে। মুকুল রায় জানেন, তাঁকে চাণক্য বলা হয়। সম্প্রতি এক কর্মিসভায় সেই বিষয়টিও তুলেছিলেন তিনি। মুকুল রায় বলেছিলেন, এখন তাঁকে এভাবে যেন চাণক্য না বলা হয়। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ২০০-র বেশি আসনে জয়ী করতে পারেন, সেই সময় তিনি এই কথা শুনবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
অমিত শাহের নির্দেশ
নভেম্বরের শুরুতে রাজ্য সফরে এসে বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেছিলেন ২০০-র বেশি আসনে জিতবে বিজেপি। সেই সময়েই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিজেপির লক্ষ্য। এদিনের সভায় মুকুল রায় বলেন, অমিতজি বলেছেন বলেছেন, ২০০-র লক্ষে পৌঁছতে হবে। দেখতে হবে, তৃণমূল যেন তলানিতে পৌঁছে যায়।
তৃণমূলের বিদায় আসন্ন
এদিন মুকুল রায় বলেন, তৃণমূলের বিদায় আসন্ন। দেওয়াল লিখনও স্পষ্ট। সোমবার তিনি পাথরপ্রতিমার সভায় বলেছিলেন, ১০০ টপকাতে পারবে না তৃণমূল। ভোটের পর তৃণমূল নামক দলটাও থাকবে না।
উদার হতে হবে বিজেপি নেতা, কর্মীদের
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এদিন বলেন, দলের নেতাকর্মীদের উদার হতে হবে। কে আগে দলে এসেছে, কে পরে এসেছে তা ভাবলে চলবে না। প্রসঙ্গত, বিজেপির মধ্যে আদি ও নব্যদের নিয়ে একটা টানাটানি আছেই। তিনি নিজেও ২০১৭ সালে বিজেপি যোগ দিয়ে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ পেয়েছেন। কিন্তু গত ৪০ বছর ধরে টানা বিজেপি করলেও অনেকেই দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি সামনের মাসগুলিতে তৃণমূলের একাধিক জন প্রতিনিধির বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে যাতে দলের মধ্যেই কোনও টানাপোড়েন যাতে তৈরি না হয়, এদিন সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মুকুল রায়, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল বিজেপিতে প্রথম দায়িত্ব
এদিন চাকদহের জনসভা থেকে মুকুল রায় বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করা বিজেপিতে তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৮ সালে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল মুকুল রায়ের নেতৃত্বে পঞ্চায়েতে লড়াই করবে বিজেপি। সঙ্গী হিসেবে রাখা হয়েছিল শমীক ভট্টাচার্যকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে হাতে কলমে তিনি কাজ দেখিয়েছিলেন বলেও জানান মুকুল রায়। তৃণমূল একের পর এক জেলা দখল করলেও সেই নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল বিজেপি রাজ্যে শক্তি হিসেবে উঠে আসতে চলেছে। যা প্রমাণ হয়ে যায় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে।
পিকে রুখতে পারছেন না তৃণমূলের ভাঙন, মুকুলের মাস্টারস্ট্রোকে দেখছেন সিঁদুরে মেঘ