For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

এই মুহূর্তে এই মানুষগুলি চরম মমতা বিরোধী বলে পরিচিতি পেয়েছেন, চিনে নিন প্রতিবাদের এই মুখগুলো

আসন্ন লোকসভা ভোটকে ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে 'বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও' কর্মসূচি।

  • By Oneindia Staff
  • |
Google Oneindia Bengali News

আসন্ন লোকসভা ভোটকে ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে 'বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও' কর্মসূচি। এই কর্মসূচির পরেই নতুন বছরের শুরুতেই বিগ্রেড প্য়ারেড গ্রাউন্ডে মেগা পলিটিক্যাল শো। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস যখন এই মেগা শো-তে নামছে তেমনি বিজেপিও পিছিয়ে নেই। নরেন্দ্র মোদীকে হাজির করানোর বার্তা দিয়ে দিয়েছে বিজেপি।

এমতাবস্থায় পিছিয়ে নেই বামেরাও। এতদিন ছোট-ছোট আকারে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা, মিছিল, সভা করে আসছিল। এবার ২৮ তারিখ থেকে দু'দিনের সিঙ্গুর কৃষণা পদযাত্রা করে বামেরাও তাঁদের একটা বিশাল জনভিত্তির পরিচয় রেখেছে। সুতরাং, পদ্মাপারের এপারের বাংলা যে রাজনীতিতে খুবই শান্তুপূর্ণভাবে হচ্ছে তেমনটা নয়। এখানে হাজির করানো হয়েছে এমন কিছু ব্যক্তিকে যারা মমতাবিরোধী বলে গত কয়েক বছরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। লোকসভা ভোটের আগে এঁদের তীব্র মমতা বিরোধিতা তণমূল কংগ্রেসকে বেগ দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

দিলীপ ঘোষ

দিলীপ ঘোষ

বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি পাল্টা মেজাজ স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বিরোধীদের পালে হাওয়া টেনেছে। বছর দুয়েক ধরে রাজ্য সভাপতির পদে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এই সময়ে তিনি যেভাবে তৃণমূলের পাল্টা বিরোধী হিসাবে বিজেপি-কে দাঁড় করিয়েছেন তাতে চমকিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসে দিলীপের কাঁধে ভরসা হাতও রেখে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি ইসলামপুর-এর দাঁড়িভিটকাণ্ডে যেভাবে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি রাস্তায় নেমে বাংলা বনধ করে তা গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল দেখাতে পারেনি বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেন।

মুকুল রায়

মুকুল রায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাণক্য। যার মস্তিষ্কেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৪ বছরের বাম শাসনকে রাজ্যের ক্ষমতাকে শুধু সরাননি, সেইসঙ্গে রাজ্যজুড়ে দলভাঙিয়ে দখল করেছিলেন একের পর এক পুরসভা। কিন্তু সেই মুকুল রায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসে নন বিজেপি-তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস-কে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সরানো যায় সেই চেষ্টা করছেন মুকুল রায়। বিজেপি-তে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়-দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হয়েছিলেন তিনি।

রাহুল সিনহা

রাহুল সিনহা

তপন শিকদারের পর রাজ্যে সবচেয়ে বড় বিজেপি নেতা। বাম ও তৃণমূলের দাপটে যখন অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের বঙ্গে জমি ধারা রাখা অসম্ভব ছিল তখন দলের কাণ্ডারি হয়েছিলেন রাহুল। হাজারো ঝড়-ঝাপটায় বিজেপি-কে নিশ্চিহ্ন হতে দেননি। দাঁতে-দাঁত চেপে দলের হাল ধরেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এখন তীব্র আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। বরাবর বিরোধী রাজনীতি করে আসা রাহুল ভালোমতোই চেনেন তণমূল কংগ্রেসের দুর্বল জায়গাগুলো। সুতরাং, বঙ্গ রাজনীতিতে রাহুল সিনহার অভিজ্ঞতাকে অবজ্ঞা করাটা বোকামি-ই হবে।

বাবুল সুপ্রিয়

বাবুল সুপ্রিয়

মমতার সঙ্গে প্রবল ঘনিষ্ঠতা ছিল একটা সময়। কিন্তু, বিজেপি-হয়ে আসানসোল থেকে সাংসদ হওয়টাই বাবুলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার কাল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা মদন মিত্রের ছেলের বিয়ের মধ্যে রীতিমতো চুপিচুপি মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে ঢ্যাং-ঢ্যাং করে ব্রেকিং নিউজ চলে বাবুলের ভোটে দাঁড়ানোর খবর প্রকাশ্যে এনে দিয়েছিল। এরপর মশলা মুড়ি খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন বাবুল। কিন্তু, ফের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেই বিপদটা ডেকে আনেন। সেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ ফিরিয়েছেন বাবুলের থেকে এখনও তা অব্যাহত। বাবুল ও তৃণমূলের সম্পর্ক এখন আদায় কাঁচ-কলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের যে কয়েক জন বড় সমালোচক বর্তমানে আছেন সেই তালিকায় উপরের দিকেই স্থান আছে আসানসোলের সাংসদের।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসতেই টালিগঞ্জে সবুজ রঙ ধারণ করার জন্য লাইন পড়ে গিয়েছিল। অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ঢাক গুঁড় গুঁড় করেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে। এরপর নিরন্তর আন্দোলন। কখনও রাস্তায় বসে পড়েছেন রূপা। আবার কখনও হাজরায় সভামঞ্চে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে মারামারিও করেছেন। বর্তমানে সাংসদ হয়ে দিল্লি-তে বেশি সময় কাটালেও সুযোগে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান রূপা।

লকেট চট্টোপাধ্য়ায়

লকেট চট্টোপাধ্য়ায়

কয়েক বছর আগে মেয়ো রোডের একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজনীতির আঙিনায় আবির্ভাব ঘটেছিল টলিগঞ্জের গ্ল্যামারার্স নায়িকা লকেটে-র। কিন্তু, তৃণমূল-এ মোহভঙ্গ হতে বেশি সময় লাগেনি। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বিজেপি-তে যোগ দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি-র রাজ্য মহিলার প্রেসিডেন্ট লকেট এখন প্রতিনিয়ত-ই তৃণমূল কংগ্রেসের কট্টর বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন। সামনে নির্বাচনে তাঁর আসন পাওয়া নিশ্চিত বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা। লকেট বুঝেছেন রাজনীতির মারপ্যাঁচ। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড়় সমালোচকদের তাঁর নামও বিবেচিত হচ্ছে।

সায়ন্তন বসু

সায়ন্তন বসু

এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপি-র যে মুখগুলি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধিতায় উঠে এসেছে তারমধ্যে সায়ন্তন-ও আছেন। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য বিজেপি-তে যে দিলীপ লাইন-এর উদ্ভব হয়েছে তারই একনিষ্ট সৈনিক তিনি। টেলিভিশন শো-এতে বিজেপি-র গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্রের ভূমিকাতেও প্রায়শই তাঁকে দেখা যায়।

সূর্যকান্ত মিশ্র

সূর্যকান্ত মিশ্র

এই মুহূর্তে রাজ্য সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক। রাজ্যের শাসন ক্ষমতা থেকে বামেদের চলে যাওয়ার পর রাজ্য সিপিএম-এর যে মুখগুলি বারবার তৃণমূল ও বিজেপি-র রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে তারমধ্যে সূর্যকান্ত মিশ্র রয়েছেন সবার আগে। তৃণমূলের রাজনীতির পিছনে আসলে বিজেপি-কে মদত দেওয়ার একটা ব্যাপার আছে তা নিয়েও বারবার প্রকাশ্যে তোপ দেগেছেন সূর্যকান্ত। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- কাউকেই রাজনৈতিকভাবে আক্রমণে এক ছটাক জমি ছাড়তে নারাজ সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সিপিএম এবং বামেদের লক্ষ-ই হল তৃণমূল ও বিজেপি ভোট-এর মাত্রাকে বৃদ্ধি করা সে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সূর্যকান্ত।

সুজন চক্রবর্তী

সুজন চক্রবর্তী

বিধানসভায় সিপিএম-এর মুখ্য সচেতক এবং যাদবপুর বিধানসভার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যজুড়ে সিপিএম যে সব গণআন্দোলন সংঘটিত করছে তার অন্যতম সংগঠক। এমনকী বামপন্থী বিভিন্ন গণ সংগঠনও যে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে তার পিছনেও রয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। রাজনৈতিকভাবে বামেদের আন্দোলনের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল এবং মমতা বিরোধী অবস্থানে সিপিএম-এর পার্টি লাইনের কার্যত মুখপাত্রের ভূমিকা তাঁকেই নিতে হয়। সপ্তাহ খানেক আগেই ইকো পার্কে রাজ্য সরকারের আয়োজিত 'আহারে বাংলা'-র উদ্বোধনে শবরদের মৃত্য়ু নিয়ে বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেন সুজন। নিউটাউন পুলিশ গ্রেফতার করে পরে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের ছেড়ে দিলেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভোটের আবহে এই আক্রমণ আরও বাড়বে।

গৌতম দেব

গৌতম দেব

শারীরিক অসুস্থতায় তাঁকে এখন প্রকাশ্য়ে দেখা যায় না। অসমর্থ শরীরে তিনি এখন বেশি কথাও বলতে পারেন না। কিন্তু, এখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে সুযোগ পেলেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েন না বর্ষিয়াণ সিপিএম নেতা গৌতম দেব। সিপিএম থেকে মমতার বিরুদ্ধে সমানে আক্রমণ শানানোর ভারটা সূর্যকান্ত, সুজনরা নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারেন, কিন্তু সিপিএম শিবির থেকে কেই যদি আজ পর্যন্ত বারবার আক্রমণের তীরে বিদ্ধ করেছেন তিনি অবশ্যই গৌতম দেব।

অধীর চৌধুরী

অধীর চৌধুরী

বহরমপুর-এর একটা সময় বেতাজ বাদশা। অধীরের গড় বহরমপুর-এর পতন হতে পারে এটা কেউ ভাবতেই পারতেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোরতোর সমালোচক অধীর নিজের গড়-এর পতন দেখেছেন চোখের সামনে। এখনও তিনি বহরমপুরের সাংসদ। কিন্তু তাঁর একে একে বিভিন্ন সঙ্গীদের তণমূলের চলে যাওয়াতেই ভেঙে পড়েননি। আক্রমণ তীব্র করে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার জন্য কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ থাকলেও নিজের অবস্থান থেকে কখনও সরেননি অধীর। কারণ, রাজ্যে টিমটিম করে জ্বলে থাকা কংগ্রেসের থেকেও তাঁর মমতাবিরোধী ব্র্যান্ডের জোর যে অনেকবেশি তা ভালোমতোই জানেন অধীর।

সোমেন মিত্র

সোমেন মিত্র

ছোড়দা। রাজনীতির আঙিনায় তিনি যথেষ্টই পরিচিত নাম। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির আমলে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের বলয়ে আবির্ভাব হয়েছিল উত্তর কলকাতার সোমেন মিত্রর। একটা সময় কংগ্রেসের অন্দরমহলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোমেন মিত্র-র বিরোধিতা ছিল সর্বজন বিদিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস ত্যাগ করে নতুন দল বানানোর পিছনেও যে সোমেন মিত্র-র সঙ্গে ঝামেলাই দায়ী ছিল তা রাজনীতির খবর রাখারা ভালো করেই জানেন। তবু, মমতার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল-এ গিয়েছিলেন সোমেন। হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। কিন্তু, এখন সেই মমতা ও তৃণমূল থেকে শতহস্ত দূরে। স্ত্রী শিখা-কে নিয়ে কংগ্রেসেই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সোমেনের। আর কংগ্রেসে ফিরে গিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি সোমেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও বারবার মমতার সমালোচনা করেছেন। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেও সোমেন যে সুযোগ পেলে মমকার বিরুদ্ধে ফোঁস করবেন না এমন গ্যারান্টি কেউ দেবেন না।

আব্দুল মান্নান

আব্দুল মান্নান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে কংগ্রেসের কোনও লাভ নেই তা বারবার শীর্ষ নেতৃত্বকে বুঝিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। বামেদের সঙ্গে জোট করা নিয়ে প্রকাশ্যে দরবার করেছেন। মমতা এবং তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে অসাম্প্রদায়িক মমতাবিরোধী শক্তিগুলোকে এক করার কথা বারবার বলেছেন মান্নান। কংগ্রেস হাইকমান্ডের সরকারি সিলমোহর পাননি কিন্তু বামেদের নিয়েই মমতাবিরোধিতার অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন আব্দুল মান্নান।

দীপক ঘোষ

দীপক ঘোষ

তৃণমূল কংগ্রেস তখনও বর্তমান দিনের তৃণমূল কংগ্রেস হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিশ্রুতিমান দল হিসাবে তখন শুধু নাম তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বামবিরোধী আমলা হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসে আবির্ভাব ঘটেছিল দীপক ঘোষ-এর। কিন্তু, যতই ক্ষমতা দখলের দিকে তৃণমূল কংগ্রেস অগ্রসর হয়েছে ততই দীপক ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দলের। মমতাবিরোধী মন্তব্য করে দলের বিরাগভাজনও হন। এরপর মমতাকে নিয়ে একটি বই লিখে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিলেন দীপক ঘোষ। তিনি এখন অনেকটাই চুপ। কিন্তু, এই নীরবতা ভেঙে দীপক যে কোনও মুহূর্তে যে আক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন তা রাজনীতির কারবারিরা ভালো করেই জানেন।

অম্বিকেশ মহাপাত্র

অম্বিকেশ মহাপাত্র

কার্টুনকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কেউ যে গ্রেফতার হতে পারেন তার প্রথম শিকার অম্বিকেশ। আদালতে মামলা লড়ে জয় পেয়েছেন অম্বিকেশ। কিন্তু, এখনও তাঁর নামে অপরাধীর অভিযোগ নথিভুক্ত করে রেখেছে পুলিশ। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের অতিসক্রিয়তা এবং সরকারি শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দল কীভাবে সাধারণ মানুষের উপর কষাঘাত হানতে পারে অম্বিকেশের গ্রেফতারি দেখিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন অম্বিকেশ এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। বর্তমানে দেশজুড়ে যতস্থানে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় গ্রেফতারির ঘটনা ঘটছে সবক্ষেত্রেই অম্বিকেশ মহাপাত্র-র ঘটনার উল্লেখ আসে। আদালতের রায়ে জয়ী হওয়া অম্বিকেশ এখন লড়ছেন নিজের উপরে থাকা অপরাধীর তকমাটা তোলার জন্য। কিন্তু, এরজন্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিজের আক্রমণের ঝাঁঝটা কমাবেন এমন সমঝোতায় রাজি নন অম্বিকেশ।

অশোক গঙ্গোপাধ্যায়

অশোক গঙ্গোপাধ্যায়

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তিনি। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের মাথা থেকে তাঁকে সরানোর জন্য বহু চক্রান্তের অভিযোগ সামনে এসেছে। অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রে কালিলেপন থেকে শুরু করে কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু, থমকে যাননি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা এবং তৃণমূলবিরোধী ভাবটা আজও বজায় রেখে গিয়েছেন। সেভ ডেমোক্রাসি নামে একটি গণসংগঠনের মাথা হয়ে বারবার সরকারেরর বিভিন্ন নিয়ম নীতি এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তিনি।

মইদুল ইসলাম

মইদুল ইসলাম

এই মুহূর্তে প্রতিবাদী শিক্ষক নেতা হিসাবে মমতা বিরোধী তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন মইদুল। আক্রান্ত আমরার সদস্য় হিসাবে এই বছরের মাঝামাঝি ক্যানিং-এ হিংসায় গুলিবিদ্ধ ছাত্র এবং এক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন মইদুল। সেই সময় পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যোগসাজোশ করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে জেলের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করে দিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালে টেট কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিলেন মইদুল। এই খবর সমক্ষে এনে সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন মইদুল। লালবাজারে একাধিকবার তাঁকে জেরাও করা হয়েছে। কিন্তু, দমে যাননি। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করে রাজ্য শিক্ষা দফতরের মধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছেন মইদুল। এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা চলছে। সরকারের বিরোধিতা করে ৬বার জেলে গিয়েছেন। শিক্ষক আন্দোলন ছাড়াও কাকদ্বীপ গণধর্ষণকাণ্ড, মগরাহাটের নির্যাতিতার ঘটনা, ভাঙড় পাওয়ার গ্রিড , ভাবা দিঘী-র মতো ইস্যুতেও আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। কংগ্রেসের বিরোধিতা করে চলেছেন। একের পর এক গণ আন্দোলনকে সংঘটিত করছেন। বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মইদুল যে সহজে দমবেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

English summary
Some people who have become as the critics of Mamata Banerjee in last couple of years. Here some names that can give some idea about the Mamata haters.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X