২১-এর নির্বাচনের আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে 'পৃথক' ভাবনা রাজ্যের! নবান্নের বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে আশ্বাস
আগেই তিন কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (swastha sathi card) আওতায় এসেছিলেন। নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের সব মানুষই এই কার্ডের আওতায় এসেছেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতা
আগেই তিন কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (swastha sathi card) আওতায় এসেছিলেন। নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের সব মানুষই এই কার্ডের আওতায় এসেছেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ডের ব্যবহার নিয়ে জট তৈরি হয়। সেই জট কাটাতে নবান্নে (nabanna) বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব।
স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আলাদা ডেস্ক
বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আলাদা ডেস্ক তৈরি করা হবে। কোনও রোগী স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গেলে, সেই ডেস্কেই প্রথম যোগাযোগ করবেন। সেখান থেকে বিনা পয়সায় হাসপাতালে চিকিৎসা থেকে ভর্তি, সবকিছুর বন্দোবস্ত করা হবে।
বিমার টাকা দ্রুত মেটাবে সরকার
বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি ছিল চিকিৎসার ৩০ দিনের মধ্যে সরকারকে বিমার টাকা মেটাতে হবে। এব্যাপারে নবান্নে হওয়া বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালগুলির স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সঙ্গে এও বলা হয়েছে, যতক্ষণ না তা মেটানো হচ্ছে, ততক্ষণ যেন রোগী ফেরানো না ফেরানোর আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
আরও বেশি সংখ্যক হাসপাতালকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান
নবান্নে
হওয়া
বৈঠকে
বেসরকারি
হাসপাতালগুলিকে
উদ্দেশ্য
করে
বলা
হয়েছে,
আরও
বেশি
সংখ্যায়
তারা
যেন
এই
প্রকল্পের
জন্য
নাম
নথিভুক্ত
করেন।
বেসরকারি
হাসপাতালগুলিকে
দ্রুত
নাম
নথিভুক্ত
করতে
বলা
হয়েছে।
তা
করলে
রাজ্যে
রোগী
পরিষেবার
মান
উন্নত
হবে
বলে
মনে
করছেন
রাজ্যের
শীর্ষ
আধিকারিকরা।
এদিনের
বৈঠকের
পরে
আপাত
দৃষ্টিতে
খুশি
বেসরকারি
হাসপাতালগুলি।
তাদের
তরফে
বলা
হয়েছে,
এর
আগেও
এনিয়ে
বৈঠক
হয়েছিল।
তবে
এই
বৈঠকে
আলোচনা
অনেকটাই
ফলপ্রসু
বলে
জানিয়েছে
তারা।
স্বাস্থ্যসাথী
কার্ড
নিয়ে
জট
কেটেছে
বলেও
মনে
করছে
হাসপাতালগুলি।
রাজ্য
সরকারের
দুয়ারে
সরকার
কর্মসূচিতে
সব
থেকে
যে
প্রকল্পের
প্রতি
মানুষ
আকৃষ্ট
হয়েছেন,
তা
হল
স্বাস্থ্যসাথী।
তবে
এরই
মধ্যে
সেই
কার্ড
দেখিয়ে
সুযোগ
না
পাওয়ার
অভিযোগে
জটিলতা
তৈরি
হয়েছিল।
নবান্নের
বৈঠকের
পর
তা
কাটতে
চলেছে
বলেই
মনে
করছে
বিশেষজ্ঞ
মহল।
বিমা ও সিজিএইচএস-এর জন্য আগে থেকেই আছে ডেস্ক
এব্যাপারে উল্লেখ্য যে বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালেই বিমার কার্ড ব্যবহার করে চিকিৎসার জন্য আলাদা ডেস্ক রয়েছে। এছাড়াও শহরের গুটি কয়েক বেসরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য থাকা সিজিএইচএস-এর কার্ডের জন্যও আলাদা ডেস্ক রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য ডেস্ক।