কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে এমনই ব্যবস্থা দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর মন্দিরে
কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত। সেকথা খেয়াল রেখেই সারাদিন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ভোর ৪ টেয় মন্দিরের দরজা খোলা হয়।
কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত। সেকথা খেয়াল রেখেই সারাদিন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ভোর ৪ টেয় মন্দিরের দরজা খোলা হয়। তবে দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ভোগের জন্য মন্দির বন্ধ থাকবে।
[আরও পড়ুন:কাশীপুর উদ্যানবাটিতে কল্পতরু উৎসব, সকাল থেকে ভক্ত সমাগম]
সাধারণত দক্ষিণেশ্বরের মন্দির খোলে ভোরে। দুপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার বিকেলে খোলে, আর রাতে বন্ধ করা হয়। দুপুর ও বিকেলের মধ্যে বেশ কয়েকঘণ্টা মূল মন্দিরে প্রবেশের এবং পুজো দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সামাল দিতে সারা দিন মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোর ৪ টেয় ভবতারিণীর মন্দিরে ও রামকৃষ্ণের ঘরে মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। ভবতারিণী মন্দিরের সঙ্গে রামকৃষ্ণের ঘরেও বিশেষ হোম ও পুজোপাঠ চলছে।
কলকাতা কিংবা জেলাগুলি থেকে যাঁরা মন্দিরে যাচ্ছেন, তাঁদের হীরালাল কলেজের রাস্তা এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তা ব্যবহার করে মন্দিরের পিছনের গেট দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে। অন্যদিকে, যাঁরা বালির দিক থেকে যাচ্ছেন, তাঁদের ব্রিজের পাশের সিঁড়ি দিয়ে নেমে এক নম্বর পার্কিং গেট দিয়ে মন্দিরে ঢুকতে হচ্ছে। তবে সকলকেই বেরোতে হচ্ছে মন্দিরের মূল গেট রানি রাসমনি রোড দিয়ে। কলকাতার দিক থেকে যাওয়া গাড়িগুলিকে নিবেদিতা সেতুর নিচে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর বালি ব্রিজ থেকে যাওয়া গাড়িগুলিকে রেলকলোনির মাঠে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্ত বলয়। মন্দিরের নিজস্ব ৪৫ জন নিরাপত্তারক্ষীকে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্দিরের ৩০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে।
ছটি নজরদারি মিনার থেকে দূরবীন-সহ নজরদারি চালাচ্ছেন সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা। আশপাশের থানাগুলি ছাড়াও, নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। রয়েছে র্যাফ ও কুইক রেসপন্স টিম। সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় নজরদারি চালাচ্ছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার ও কর্মীরা। মন্দির সংলগ্ন ফেরিঘাট-সহ একাধিক ফেরিঘাটে তৈরি রাখা রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের।