শুভেন্দুর জন্য চিন্তা করে লাভ নেই! আক্রমণে অন্য 'বিদ্রোহী'দের উদ্দেশে যা বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভেন্দু অধিকারী ( subhendu adhikari) মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার তাঁর নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন। গত মঙ্গলবার যখন বলা হয়েছিল সমস্যা মিটে গিয়েছে তখন কল্যাণ বলেছিলেন, তিনি খুব আনন্দিত। এবার সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বললেন যে চলে গিয়েছে তার জন্য চিন্তু করে কী লাভ?

শুভেন্দুর জন্য চিন্তা করেন না কল্যাণ
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আর চিন্তা করেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে লেস ইন্টারেস্টেড। এরপরেই তিনি বলেন, যে চলে গিয়েছে তার জন্য তিন্তা করে কী লাভ? সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তবে কি শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়েছেন? তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি প্রাথমিকভাবে শুনেছেন শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যে যাবে সে যাবে। যে থাকবে, সে থাকবে। তাতে কোনও অসুবিধা নেই।

যারা যাওয়ার তাড়াতাড়ি যাক
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা যাওয়ার তারা তাড়াতাড়ি চলে যাক। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শেষদিন পর্যন্ত ভোগ করে যেও না। যারা যাওয়ার চলে যাও। ভোগ করে যেও না। সোজা কথা।

রাজীব ও অতীন ঘোষকে বার্তা
শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নয়, এদিন নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অতীন ঘোষকেও বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে যেমন খুশি গাইবে। কেউ বেসুরো গাইতে চাইলে গাইবে। তবে তাতে তাদের কিছু যাবে আসবে না। তাদের একটাই সুর। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাছে তলা ছেড়ে যে যেখানে যাবে যাক।

শুভেন্দু অধিকারীকে আগেও আক্রমণ
শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি এর আগেও আক্রমণ শানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, তিনিও ( কল্যাণ) পান্তা ভাত খান। তবে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কাজু বাদাম খাওয়া নেতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। নন্দীগ্রাম থেকে চমকাইতলা সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, কতদিন পর্যন্ত দলের সুবিধা ভোগ করবে, নির্বাচন এলে তবেই কি অন্য দলে যাবে? সব এখানে ভোগ করে নিয়ে তবেই কি অন্য দলে যাবে, প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। যদিও গত মঙ্গলবার রাতে যখন খবর প্রকাশিত হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যাবতীয় মেঘ কেটে গিয়েছে, সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি খুশি।

সিএএ কবে থেকে রাজ্যে লাগু ঘোষণা মুকুল, কৈলাশের! রাজনৈতিক মূল্য পেতে বিজেপির কত আসন, বললেন 'চাণক্য'