বীরভূমে বিজেপির গোষ্ঠী 'কোন্দল'! 'মধ্যমণি' হলেন অনুব্রত
এবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। ঘটনাটি বীরভূমের। সিউড়িতে ছিল বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেখানেই হাজির ছিলেন, প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল।
এবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। ঘটনাটি বীরভূমের। সিউড়িতে ছিল বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেখানেই হাজির ছিলেন, প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুধকুমার মণ্ডল রামকৃষ্ণ রায়কে সংকীর্ণমনা বলে কটাক্ষ করেন। এদিকে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, দুই গোষ্ঠীর সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রাখে যখন রাজ্যকেই টার্গেট করেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে বীরভূমের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। সিউড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিলেন দুধকুমার মণ্ডল এবং অর্জুন সাহারা। জেলা সম্পাদক অনিল সিংহও সেখানে ছিলেন। জেলা রাজনৈতিক মহলের একাংশের খবর, এঁরা সবাই মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। বিজয়া সম্মিলনীতে নিজেদের ভাষণেই বর্তমান সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়কে নিশানা করেন তাঁরা। প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, রামকৃষ্ণ রায়কে সংকীর্ণ মনা বলে উল্লেখ করেন। এই বিজয়া সম্মিলনীতে আসতে রামকৃষ্ণ রায় অনেককেই নিষেধ করেন বলে অভিযোগ দুধকুমার মণ্ডলের। জেলা সম্পাদক অনিল সিংহের অভিযোগ, অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রামকৃষ্ণ রায়।
বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে না থাকলেও জেলার অফিসে বসেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন, বর্তমান জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। সভার উদ্যোক্তা প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রাক্তন সভাপতি এই অভিযোগ খণ্ডন করেননি বলেও দাবি করেন রামকৃষ্ণ রায়। দলীয় নেতা অনিল সিংহের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে প্রমাণ দিন। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলাতে সভার আয়োজন নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল চলছে বিজেপিতে। এমনটাই বলছে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ১৪ নভেম্বর লাভপুরে সভা করার কথা রয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। দুদিন পরে মল্লার পুরে সভা করবেন মুকুল রায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীর্ষ দুই নেতার সভায় অন্য পক্ষ আমন্ত্রিত নন।
বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকে হাতিয়ার করেছেন জেলা বিজেপি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি বিজেপির দুই গোষ্ঠীই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে।
লোকসভা নির্বাচনের এখনও দেরি আছে। তার আগে সামনের মাসেই জেলার তারাপীঠ থেকে রাজ্যে রথযাত্রার সূচনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তার আগে এই গোষ্ঠী বিবাদ বিজেপি কতটা সামাল দেয় এখন সেটাই দেখার।