দাড়িভিট নিয়ে শাসক দলে 'বিভেদ'! ২০১৯-এর ভোটের আগে অস্বস্তিতে মমতার দল
দাড়িভিট নিয়ে বিভেদ শাসক দলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভেদ দেখা দিয়েছে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের।
দাড়িভিট নিয়ে বিভেদ শাসক দলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভেদ দেখা দিয়েছে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুবোধ মজুমদার দাবি করেছেন, পুলিশের গাড়ি থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা তাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছে দুই মৃত ও বিজেপির তরফ থেকে।
সেপ্টেম্বরে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। গুলিতে স্থানীয় বাসিন্দা প্রাক্তন দুই ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছিল আরএসএস।
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আরএসএস ও বিজেপির সংগঠিত পরিকল্পনা ছিল ইসলামপুরে দাড়িভিটে। এলাকা কিছুটা শান্ত হওয়ার পর সেখানে গিয়ে সভা করেন ওই জেলার জন্য তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার জন্য বিজেপি ও এবিভিপিকে দায়ী করার পাশাপাশি তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি ওই দুই প্রাক্তন ছাত্রের।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য সুবোধ মজুমদার। তাঁর দাবি, পুলিশের গাড়ি থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা তাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফে প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের স্কুলে পাঠিয়ে স্কুল খোলার চেষ্টা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু মৃত দুই প্রাক্তন ছাত্রের পরিবারের বাধায় তা করা যায়নি। পরিস্থিতি অনুকূল করতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফে মৃতদের পরিবার, ছাত্রদের অভিভাবক, স্কুল পরিচালন সমিতি, প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানেই পঞ্চায়েত সদস্য পুলিশের গুলি চালানোর কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।