জলপাইগুড়িতে মিড-ডে মিলে ব্যাপক গরমিল, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় মিড-ডে মিলে গরমিল। দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে নবান্নে।
জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় মিড-ডে মিলে গরমিল। দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে নবান্নে।
সোমবারের পর বুধবারেও জলপাইগুড়ির একাধিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালাল পুরসভার তদন্তকারী দল। বুধবার মূলত ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে ডেকে নিয়ে কাগজপত্র দেখতে চান তদন্তকারীরা। মিড ডে মিলের খাবার, ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। দেখা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রী কম থাকলেও, মিড ডে মিলে বেশিজনের রান্না হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সোমবার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অনুভব শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটাখানা বিদ্যাসাগর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। দলে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বাস্থ্য সৈকত চ্যাটার্জি এবং কার্যনির্বাহী আধিকারিক শান্তনু মৈত্র। বেশির ভাগ জায়গাতেই মাংস ও ডিম ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে।
অনুভব শিক্ষা কেন্দ্রে রেজিস্টারে ১০৩ জনের উপস্থিতি দেখানো হলেও, সোমবার উপস্থিত ছিল মাত্র ৯ জন ছাত্রছাত্রী। অন্যদিকে, ভাটাখানা বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে রেজিস্টারে ৫৯ জনের উপস্থিতি দেখানো হলেও, ৯ জন মাত্র উপস্থিত ছিল। এছাড়াও মেনু চার্ট টানানোর কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি বলেই অভিযোগ।
গরমিলের অভিযোগ ওঠা সবকটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জকে শোকজের চিঠি ধরানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে নবান্নেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে।