দলীয় বিধায়কের আস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে 'মতভেদ'! দিলীপ, মুকুলের ২ মত নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর দাবি তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। সেই দাবি তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সঙ্গে আবার কেউ কেউ নিরপেক্ষ তদন্তের দাব
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর দাবি তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। সেই দাবি তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সঙ্গে আবার কেউ কেউ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও তুলেছেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মুখে শোনা গিয়েছে সেই কথা।
ফের এগোল ভারত ! কোনও দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
বিজেপি নেতার জামার পকেটে সুইসাইড নোট
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, হেমতাবাদের বিধায়কের জামার পকেটে মিলেছে সুইসাইড নোট। সেখানে কয়েকজনকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থেই সেই নাম তিনি প্রকাশ করেননি।
আত্মহত্যার তত্ত্বে উঠেছে প্রশ্ন
প্রশ্ন উঠেছে বিধায়ক যদি আত্মহত্যাই করবেন, তাহলে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বন্ধ দোকানের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন কেন। আত্মহত্যাই যদি তিনি করবেন, তাহলে তাঁর হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাধা থাকবে কেন। আত্মহত্যা করলেও তার মুখে কোনও বিকৃতি নেই কেন। আত্মহত্যার তত্ত্বে নানা প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির
এই ঘটনায় রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে বিজেপি শুরু থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতিই হোন কিংবা স্থানীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, দাবি করেছেন সিবিআই তদন্তের। একই দাবিতে কলকাতায় দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিলও হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, হয় রাজ্য সরকার সিবিআই চাইবে, নয়তো হাইকোর্টে গিয়ে আদেশ আনতে হবে।
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য সিপিএম ও তৃণমূলকে সন্দেহের তালিকায় রেখে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। পাশাপাশি এলাকায় শক্তিশালী কংগ্রেসও। ফলে কোনও দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হবে না। সাধারণ মানুষের সামনে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ তুলে ধরার সওয়াল করেছেন অনেক বিজেপি নেতা। এর জন্য চাই নিরপেক্ষ তদন্ত। এক্ষেত্রে কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করা যেতে পারে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে সিবিআই তদন্তে আস্থা নেই মুকুল রায়ের। তিনি বিচারবিভাদীয় নিরপেক্ষ তদন্তের সওয়াল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে মুকুল রায়ের উদ্যোগেই দেবেন্দ্রনাথ রায় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।