মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পাক খেয়ে গেল জোড়া ঘূর্ণি, লণ্ডভণ্ড শহর কলকাতা
তীব্র দাবদাহের সতর্কতার মাঝেই ধেয়ে এল সাইক্লোন। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে কালবৈশাখীর জোড়া ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত মহানগর।
তীব্র দাবদাহের সতর্কতার মাঝেই ধেয়ে এল সাইক্লোন। কালবৈশাখীর ঝড়ে উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা শহর কলকাতার। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত হয়ে গেল মহানগর। মেট্টো চলাচল থেকে শুরু করে ট্রেন ও যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন শহর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়।
বছরের তৃতীয় কালবৈশাখীতে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল। গাছ পড়ে গিয়েছে দমদম মেট্রো লাইনের উপর। ফলে মেট্রো চলাচল বন্ধ। শোভাবাজার থেকে মেট্রো চলছে। বড়বাজারে শিবমন্দিরের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া পার্কসার্কাস সার্দার্ন অ্যাভিনিউ-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত।
এদিন হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচলেও প্রভাব ফেলেছে এদিনের কালবৈশাখী। বহু জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। ওভারহেড লাইনের তার ছিঁড়ে বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবাও। দমদম বিমানবন্দরে সাড়ে সাতটার পর থেকে কোনও বিমানও নামাওঠা করতে পারেনি।
এদিন ৭.৪২ মিনিট নাগাদ ঝড় বয়ে যায় প্রথমবার। তার ১০ মিনিট পরই ফের আরও শক্তিশালী হয়ে ঝড় ফিরে আসে। দ্বিতীয়বারের ঝড় স্থায়ী হয় দীর্ঘক্ষণ ধরে। শহরজুড়ে তাণ্ডব লীলা চালায়। তারপর ঝড়ের সঙ্গেই শুরু হয় বৃষ্টির দাপট। বহু জায়গায় জল জমার খবরও পাওয়া গিয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও দাপট দেখিয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। ঝড়ের প্রকোপে লণ্ডভণ্ড অবস্থা গাঙ্গেয় উপকূলের জেলাগুলিতে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়া প্রথম কালবৈশাখীতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছিল। আর দ্বিতীয় কালবৈশাখীতে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ৬০-৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়। এদিন আবার সেই মাত্রা ছাড়িয়ে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলে কালবৈশাখীর ঝড়ের গতি। রূপ নেয় সাইক্লোনের।