মুকুল চারমাস আগে থেকে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে! বিতর্কের মধ্যেই বাড়ছে জল্পনা
মুকুল রায়কে নিয়ে যখন বিতর্ক বিজেপি শিবিরে, তখন অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবর। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মুকুল রায় গত মার্চ মাস থেকে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে।
মুকুল রায়কে নিয়ে যখন বিতর্ক বিজেপি শিবিরে, তখন অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবর। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মুকুল রায় গত মার্চ মাস থেকে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। এই বিস্ফোরক দাবি নিয়ে ফের বাজার গরম হয়েছে। উল্লেখ্য, মুকুল রায় এই তত্ত্ব উড়িয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছিলেন।
মুকুল রায়ের তৃণমূল যোগ নিয়ে জল্পনা
রাজ্য লকডাউন শুরুর ঠিক আগে রটে গিয়েছিল মুকুল রায় এক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে মুকুল রায়কে তৃণমূলে ফিরে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। মুকুল রায়ের এই তৃণমূল যোগ নিয়ে তারপর থেকেই নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে। জল্পনা আর রটনা বাড়তে শুরু করে মুকুল রায়কে নিয়ে।
মুকুল জল্পনা উড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন
এরপর মুকুল রায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন। বিজেপিতেই রয়েছেন। এসবই রটনা। তিনি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। বিগত নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছিল। এখন তাঁদের লক্ষ্য তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো। তাই ওইসব জল্পনার কোনও ভিত্তি নেই। তৃণমূলের তরফেও জানানো হয়, এসব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেন মুকুলের তৃণমূল-যোগের কাহিনি আবার সামনে
মুকুল রায় হঠাৎ করে বিজেপির বৈঠক সেরে চলে আসার পর ফের সেই জল্পনার পারদ চড়েছে। শুধু বৈঠক সেরে চলে আসাই নয়, মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মোদী-শাহের ছবি সম্বলিত ফ্লেক্স-ব্যানার। তাতেই আরও জল্পনা বেড়েছে। আর এই জল্পনার সূত্র ধরেই মার্চে মুকুলের তৃণমূল-যোগের কাহিনি আবার সামনে এসেছে।
মুকুলের সঙ্গে মতপার্থক্য বিজেপি নেতৃত্বের
সম্প্রতি বিজেপির ডাকা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরির বৈঠকের মাঝপথেই মুকুল রায় ফিরে আসেন কলকাতায়। তার আগে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে চরম মতভেদ হয় মুকুলের। বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যে ১৯০ আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বলে রিপোর্ট পেশ করে। তাতেই আপত্তি জানান মুকুল। তিনি বলেন, যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, ততটা নয়।
মুকুলের যুক্তি খণ্ডন হতেই...
মুকুলের যুক্তি কেউই মানতে পারেননি। মুকুল রায় এই ঘটনায় অপমানিত বোধ করেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই তিনি বৈঠকে আর যোগ না দেওয়াই মনস্থ করেন। তিনি ফিরেও আসেন কলকাতায়। যদিও মুকুল রায় বলেন, তিনি চোখ দেখাতে ফিরে এসেছেন। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্ট করা ছিল। বৈঠক যে চার-পাঁচদিন বা তারও বেশি সময় হবে তিনি জানতেন না।