উপাচার্য নিরুদ্দেশ! পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ বিশ্বভারতী, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শান্তিনিকেতনে
উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত নোটিশ সাঁটিয়ে বিতর্কে জড়াল বিশ্বভারতী। শনিবার বিশ্বভারতী চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় এই বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত নোটিশ সাঁটিয়ে বিতর্কে জড়াল বিশ্বভারতী। শনিবার বিশ্বভারতী চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় এই বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। তাতে লেখা বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁর উচ্চতা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি। পরনে পাঞ্জাবি, পাজামা, পায়ে মোজা, পাকা চুল ও গোঁফ। কেউ সন্ধান দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তির নীচে লেখা বিশ্বভারতী কর্মিসভা। তাতেই বিতর্ক চরমে। এই বিজ্ঞপ্তি নজরে আসতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিভিন্ন মহলে। অনেকেই নিন্দা করেন এই ধরনের বিজ্ঞপ্তির। এ ব্যাপারে জানতে বিশ্বভারতী স্বীকৃত কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, এইরকম ক্রাইসিসের মুহূর্তে উপচার্য বিশ্বভারতীতে নেই। তার কোন সন্ধানও নেই। সন্ধান চাই। এই পোস্টার আমরাই দিয়েছি।
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীতে এই কাদা ছোড়াছুড়ি অনেকেই পছন্দ করছেন না। এব্যাপারে বিশ্বভারতী স্বীকৃত আরেক শিক্ষা সংগঠন অধ্যাপক সভার নেতা কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, আমি শুধু বলব, এসব ঘটনায় না জড়িয়ে অবিলম্বে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করাটাই যুক্তিযুক্ত। শান্তিনিকেতনের শালীনতা বজায় রেখে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ায়ই কাম্য।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে দেওয়ায় আছে, সরকারি কাজে উপাচার্য বাইরে আছেন। তাঁর জায়গায় বিশ্বভারতীর নিয়ম মেনেই সিনিয়র মোস্ট সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নিখিলেশ চৌধুরীকে দায়িত্বভার দেওয়া আছে। এর মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার তো কিছু নেই।
বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, উপাচার্যর নিরুদ্দেশের কোন সম্ভাবনা নেই। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সাঁটানোর ব্যাপারটা শিশুসুলভ এবং হাস্যকর মনে হয়েছে। উল্লেখ্য গত মাসে যখন উপরাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতীতে আসেন। তার আগেও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন এলাকায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল।