বাংলার আদিবাসী সমাজের শিক্ষার অভাব এবং সামাজিক বৈষম্য নিয়ে সরব অমর্ত্য সেন
বাংলার আদিবাসীদের শিক্ষার অভাব এবং সামাজিক বৈষম্য নিয়ে সরব অমর্ত্য সেন
বাংলায়
আদিবাসীদের
নিম্ন
জীবনমান,
শিক্ষার
অভাব
ও
সামাজিক
বৈষম্য
নিয়ে
সরব
হলেন
নোবেল
জয়ী
অর্থনীতিবিদ
অমর্ত্য
সেন।
সম্প্রতি
প্রকাশিত
প্রতীচী
ট্রাস্টের
উদ্যোগে
'লিভিং
ওয়ার্ল্ড
আদিবাসিজ
অফ
ওয়েস্ট
বেঙ্গল'
শীর্ষক
রিপোর্টে
বাংলা
তথা
দেশের
আদিবাসীদের
সামাগ্রিক
পিছিয়ে
পড়ার
চিত্রটি
আরও
পরিষ্কার
করে
তুলে
ধরা
হয়েছে।
উঠে আসছে আদিবাসী সমাজে শিক্ষার অভাবের প্রধান কারণ
ওই রিপোর্টে আদিবাসী সমাজে শিক্ষার অভাবের আসল কারণ গুলিকেও তুলে ধরা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আদিবাসী সমাজের মানুষদের বেশির ভাগ মানুষ অল্প বয়স থেকেই রোজগারের তাগিদে কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৫৩ শতাংশ আদিবাসী মানুষের মধ্যে এমন প্রবণতা রয়েছে। তার ফলেই এঁরা শিক্ষা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হন।
ভারতের উন্নয়নে বরাবরই উপেক্ষিত আদিবাসীরা
পাশাপাশি বুধবার বুধবার এশিয়াটিক সোসাইটির বিদ্যাসাগর সভাঘরে পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসীদের নিয়ে প্রতীচী ইনস্টিটিউট ও এশিয়াটিক সোসাইটির একটি যৌথ রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানের পরে অমর্ত্য সেন বলেন, "ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদিবাসীরা বরাবরই উপেক্ষিত।" ওই অনুষ্ঠানেই ততিনি বলেন আদিবাসীদের ভোট নেওয়ার জন্য নানান কথা বলা হয়। কিন্তু তাঁদের যথার্থ উন্নয়নের, উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয় না, যার কারণেই মূলত আদিবাসীরা পিছিয়ে পড়ছেন। আইনি অধিকার সম্পর্কে এই কারণে তাদের কোনও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয় না। এই রাজ্যেও একই ছবি।
আদিবাসী সমাজ সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে বৃহত্তর সমাজের
এই দিনের অনুষ্ঠানে প্রতীচী ট্রাস্টের তরফে মানবী মজুমদার, কুমার রানা এবং এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইশা মহম্মদ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনের আরও পর্যবেক্ষণ, আদিবাসীদের নিয়ে সমাজের বৃহত্তর অংশের এখনও একাধিক ভুল ধারণা রয়েছে। তাঁদের সমাজ, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই বহু মানুষের।
পশ্চিমবঙ্গে ৪০টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি জনজাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
একইসাথে, প্রতীচী ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা জানান, পশ্চিমবঙ্গে ৪০টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি জনজাতি' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিভিন্নতা এবং স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কেও সমাজে সচেতনতার অভাব আছে। এই সমস্যা থেকে থেকে উত্তরণেরও নানা উপায় বলা হয় প্রতীচী ট্রাস্টের তরফে। এই সমস্যা থেকে নিস্তারের অন্যতম উপায় হিসাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও জোর দিতে দেখা যায় প্রতীচী ট্রাস্চের গবেষকদের।