বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা ২৫ জন, নতুন নিয়ম লাগু বাংলায়
পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনায় ন’জনের মৃত্যু ও ৪২৬ জন সংক্রমিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে সোমবার থেকে বিয়ে, শ্রাদ্ধ বা শেষ কৃত্যের মত সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০ থেকে ২৫ জন অতিথি সংখ্যা থাকবে।

৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন
মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে জানান যে লকডাউন ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে কন্টেইনমেন্ট জোন ও করোনা প্রভাবিত এলাকায় ১৫ জুনের পরিবর্তে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।

অফিস যাত্রীদের সাইকেল ব্যবহারের পরামর্শ
মুখ্যমন্ত্রী কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে সোমবার থেকে যে সব নিত্যযাত্রীরা অফিস যাচ্ছেন তাঁদের কাছে সত্যিই এই সময়টা খুব কঠিন তবে তাঁরা যদি সক্ষম হয় তবে সাইকেলে করে অফিস যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ পরবর্তী সময়ে সাইকেলিস্টদের জন্য আলাদা রাস্তা করে দেবে। সুরক্ষা সবচেয়ে বড় উদ্বেগ তাই প্রচন্ড যানজটেই যদি সাইকেল চালিয়ে নিত্যযাত্রীরা যান তবে সমস্যা নেই।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অফিসে একটু দেরি হলে কোনও সমস্যা নেই। সুরক্ষা সবার আগে।' মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রাস্তায় পাঁচ হাজার বাস চলছে, কিন্তু কোনও লোকাল ট্রেন বা মেট্রো পরি্যেবা এখনও চালু হয়নি।

সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা
রেল মন্ত্রকের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ইঙ্গিত মেলেনি যে রেল পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে। প্রায় ৫০ শতাংশ অফিসযাত্রীরা কলকাতায় আসেন শহরতলির ট্রেনগুলিতে করে জেলা থেকে। মুম্বইয়ের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও ট্রেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এগুলি ছাড়া যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বাসে চাপা নিত্য যাত্রীদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বাসে যতগুলি আসন ততজন যাত্রী তোলা যাবে। তাও সোমবার সন্ধ্যায় বহু যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় এবং বাস থামানোর জন্য চেঁচামেচি করতে শোনা যায়। অটোতেও ২ জনের বেশি যাত্রী তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে।

প্রিয়জনের দেহ দেখার অনুমতি পরিবারকে
৬ জুন জনপ্রিয় একটি বিজ্ঞপ্তির পুনরায় নবান্নে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯ রোগীর মৃতদেহ শেষকৃত্যে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রিয়জনকে দেখতে পারবেন। আগে সুরক্ষার কারণে দেহ দেখার অনুমতি ছিল না পরিবারের এমনকি শেষকৃত্য করতে পারবে না তারা। শনিবার ঘোষিত হওয়া নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে বলা হয়েছে যে মৃতদেহ দেখতে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের পিপিইস মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। দেহ স্বচ্ছ প্লাস্টিকে মোড়া থাকবে যাতে মুখ দেখা যায় মৃতদেহের।

মহারাষ্ট্রে এখনও আটকে রয়েছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা, বম্বে হাইকোর্টে আবেদন ঘিরে তৈরি নতুন বিতর্ক