গড়িয়া শব-কাণ্ডে এবার আসরে নামল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব
গড়িয়া শব-কাণ্ডে এবার আসরে নামল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব
গড়িয়া শব-কাণ্ডে এবার রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গত ১০ই জুন একটি ভাইরাল ভিডিও-র হাত ধরে সামনে আসে গড়িয়ার শব-কাণ্ডের কথা। ওই ভিডিওতে দেখা যায় গড়িয়া শ্মশানে বেশ কিছু পচাগলা দেহগুলির গলায় আঁকশি গেঁথে হিড়হিড় করে টেনে হিঁচড়ে তোলা হচ্ছে গাড়িতে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতেরদের সঠিক সংখ্যা গোপনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সরকারের দিকে।
এমতাবস্থায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিপুল চট্টোপাধ্যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব, কলকাতা পৌরসভা, কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে গোট ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গত ১৭ই জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও।
ওই দিন গড়িয়া শ্মশানে ১৩ থেকে ১৪ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ অত্যন্ত অমানবিক ও দায়িত্বহীনভাবে সত্কারের অভিযোগ করা হয়েছে ওই অভিযোগ পত্রে। মূল অভিযোগ করা হয়েছে কলকাতা পৌরসভার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। একইসাথে পৌরসভার দায়বদ্ধতার কথাও এখানে স্মরণ করানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে ওই ঘটনার পরেই স্থানীয়দের দাবি, ১০ই জুন গড়িয়া শ্মশানে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ সত্কারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ মৃতদেহ গুলি ছিল করোনা আক্রান্তদেরই। যদিও সমস্ত দাবি খারিজ করে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ও কলকাতা পুলিশ অকযোগে জানায় গড়িয়া শব-কাণ্ডের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনও যোগ নেই। ওগুলো সবই বেওয়ারিশ লাশ।
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ, এরপর কী? বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুণছে শহরের চিনা খেলনার কারবারিরা