মমতা-ম্যাজিকে অন্ধকার দূর, গুরুংকে বার্তা দিয়ে চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
তিনমাস আগেও যে দার্জিলিং আগুন জ্বলেছে, সেখানেই মমতা-স্পর্শে শিল্প সম্মেলনের আসর বসেছে। আর তারই সাফল্যে এবার পাহাড়ে হবে মমতা-চামলিং বৈঠক।
বিমল গুরুংকে শায়েস্তা করে পাহাড়ে লাগাম এখন নিজের হাতে এনেছেন মমতা। 'বেয়াড়া' বিমলকে সরিয়ে 'বিবেচক' বিনয়কে বসিয়েছেন পাহাড়ের তখতে। তারপরই পাহাড়ে উন্নয়নের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তিনমাস আগেও যে দার্জিলিং আগুন জ্বলেছে, সেখানেই মমতা-স্পর্শে শিল্প সম্মেলনের আসর বসেছে। আর তারই সাফল্যে এবার পাহাড়ে হবে মমতা-চামলিং বৈঠক।
যে সিকিম দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংদের পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করেছিল, আশ্রয় দিয়েছিল রাষ্ট্রদ্রোহী বিমল গুরুংকে, সেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। আগামী ১৬ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। পাহাড় রাজনীতিতে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অসীম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় হবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই বৈঠক। এই বৈঠক শুধু রাজ্য তথা দার্জিলিংয়ের জন্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়, এই বৈঠক বিমল গুরুংয়ের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও তাৎপর্যপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ সিকিমের জন্যও। দার্জিলিং থেকে পালিয়ে গুরুং আশ্রয় নেন সিকিমে। স্বভাবতই তাঁর ব্যাপারে চামিলং সরকার কী অবস্থান নিচ্ছে, তা অবশ্যই আলোচিত হবে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে।
আর সবথেকে বড় কথা বাংলা ও সিকিম প্রতিবেশী দুই রাজ্য পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। সেই দুই রাজ্যের বিবাদ পাহাড় রাজনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলবে। সেই নিরিখে পাহাড় শান্ত রাখতে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলাও দরকার। তাই আগামী শুক্রবার উত্তরকন্যার বৈঠক একসঙ্গে অনেকগুলো দিক নির্ণয় করে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।