সমাজকে মিথ্যা গুজব থেকে বাঁচাতে কাজ করবে স্থানীয় ক্লাব, উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে এরকম মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে সমাজেরই এক অংশের মানুষ। তা প্রতিরোধ করতে পারে একমাত্র স্থানীয় ক্লাবগুলি। অন্তত সেরকমটাই মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের যুব পরিষেবা ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে খেলাশ্রী অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্থানীয় ক্লাবগুলিকে এ বিষয়ে আবেদন জানান।
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা নানা জায়গা থেকে এসে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশ্যে জানান, স্থানীয় ক্লাবগুলি তাঁদের সংশ্লীষ্ট অঞ্চলগুলিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সমাজে যে ধরনের মিথ্যা গুজব রটছে তা প্রতিরোধ করতে তাঁদেরই এগিয়ে আসা উচিত। রাষ্ট্রকে কেউ যাতে বদনাম করতে না পারে সেইসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে পদক্ষেপ নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভালো সমাজ গড়ে তুলতে একটি ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা স্থানীয় ক্লাবের দায়িত্ব তাদের সংশ্লীষ্ট এলাকাতে যাতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে তা নিশ্চিত করা।’
মুখ্যমন্ত্রী এও জানান যে এর পাশাপাশি এলাকাগুলি যাতে পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন ও সবুজ থাকে তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় ক্লাবের। এই উদ্যোগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখমন্ত্রী রাজ্য যুব পরিষেবা ও ক্রীড়া দপ্তরকে নির্দেশ দেয় যে অনলাইন পদ্ধতি শুরু করতে, যাতে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা অনলাইনে আবেদন করে রাজ্য সরকারকে জানাতে পারে যে তাদের কি ধরনের সহায়তার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে যুব পরিষেবা ও ক্রীড়া বিভাগ ক্লাবগুলিকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যদি কোনও ক্লাব গাছ লাগানোর জন্য সাহায্য চায়, তবে যুব পরিষেবা ও ক্রীড়া দপ্তর সমন্বয় স্থাপন করে সংশ্লীষ্ট দপ্তরকে জানাবে ও ক্লাবকে সাহায্য করবে। আবার যদি কোনও ক্লাব নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে চায় তবে দপ্তর দু’টি পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে সে বিষয়ে জানাবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ক্লাবের সদস্যরা চাইলে জেলা শাসক, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বা বিডিও–এর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন এ বিষয়ে। তিনি আরও জানান যে রাজ্য সরকার ক্রীড়া ও অড়্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ক্লাবগুলিকে ২৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আই–লিগ জেতার জন্য অভিনন্দন জানায় মোহনবাগন দলকে। শতবর্ষে পা দেওয়ার জন্য তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও অভিনন্দন জানান। মুখ্যমন্ত্রী দুই দলের কর্তৃপক্ষের হাতেই চেক ও ট্রফি তুলে দেন। ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের এই অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। শতবর্ষে পা দেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে একটি গেট তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। অমল দত্তের স্মরণে ক্রীড়া সহযোগিতার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম হিসাবে পরিচিত হবে বলেও ঘোষণা করেন।