বিশ্বের সবথেকে বড় মৃন্ময়ী দুর্গা! শহরের বুকে নয় দেখতে হলে চলুন মফ্ফস্বলে
গতবার ৫১ পীঠের প্রতিমা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই পুজো মণ্ডপ। তাই এবার আরও বড় চমক দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে ৫২ ফুটের দুর্গা।
দেশপ্রিয় পার্কের পর এবার বড় দুর্গায় পুজো মাতাতে আসছে উলুবেড়িয়ার বাগাণ্ডা সর্বজনীন। শহরের পর মফ্ফস্বলেও থিম পুজোয় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই পুজো কমিটি। বিশ্বের সবথেকে বড় মৃন্ময়ী দুর্গার উপস্থাপনায় ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এই পুজো মণ্ডপ।
৫২ ফুটের দুর্গা। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি প্রতিমার অলঙ্কার থেকে পরনের শাড়ি সবই মাটির তৈরি। মায়ের হাতের খড়্গটির দৈর্ঘ্যও নাকি তাক লাগানো। খড়্গের দৈর্ঘ্য আট ফুট। একজন মানুষের উচ্চতার থেকেও ঢের বেশি। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাই পুজো শুরুর আগেই প্রতিমা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে।
ইতিমধ্যে
পুজো
উদ্বোধনও
হয়ে
গিয়েছে।
মহালয়ার
পুণ্যলগ্নে
বিধায়ক
পুলক
রায়ের
পুজো
বলে
পরিচিতি
পাওয়া
এই
দুর্গোৎসবের
উদ্বোধন
হয়েছে
মন্ত্রী
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়,
অভিনেত্রী
শ্রীলেখা
মিত্র-সহ
খ্যাতনামাদের
উপস্থিতিতে।
সেইসঙ্গে
দর্শনার্থীদের
জন্যও
খুলে
দেওয়া
হয়েছে
মণ্ডপের
সিংহদুয়ার।
দেবীপক্ষের
সূচনালগ্ন
থেকেই
ভিড়
উপচে
পড়েছে
সবথেকে
বড়
মৃন্ময়ী
প্রতিমা
দেখতে।
গতবার
৫১
পীঠের
প্রতিমা
করে
তাক
লাগিয়ে
দিয়েছিল
এই
পুজো
মণ্ডপ।
তাই
এবার
আরও
বড়
চমক
দেওয়ার
জন্য
তৈরি
হয়েছিল
এই
পুজো
কমিটি।
দু-মাস
ধরে
তারই
সার্থক
রূপায়ণ
করেছেন
শিল্পীরা।
প্রতিমাশিল্পী
থেকে
শুরু
করে
মণ্ডপশিল্পীরা
দিনরাত
এক
করে
কাজ
করেছেন।
উলুবেড়িয়া থেকে শ্যামপুরগামী রাস্তার ধারেই এই পুজো মণ্ডপ। সবথেকে বড় দুর্গার আকর্ষণে ছুটে আসা দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শনকে সুগম করতে বড় বড় হোর্ডিং-ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রাস্তা। বাগাণ্ডা ফুটবল ময়দানে যে পুজোর আসর বসেছে, তা গ্রামবাংলার বুকে সত্যিই তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
৫২ ফুট দুর্গা প্রতিমা। লক্ষ্মী-সরস্বতী, কার্তিক-গণেশও সেই মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই তৈরি হয়েছে। আর মহিষাসুর ও সিংহের আকারও দুর্গা-প্রতিমাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতোই। এবার পুজোর ৫২তম বর্ষ। ৫২তম বর্ষের মূল আকর্ষণ ৫২ ফুটের প্রতিমা। এবার পুজোর বাজেট ১৬ লক্ষ টাকা। মণ্ডপসজ্জাতেও অভিনবত্ব থাকছে। থাকছে সুদৃশ্য আলোকসজ্জা। পুজো কমিটির দাবি, বড় দুর্গার আকর্ষণে কলকাতার পুজো মণ্ডপকে এবার চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি তাঁরা।