‘রাক্ষসে’র ঠেলায় ঘাম ছুটেছিল, সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ গড়ে অবশেষে পুলিশের জালে বন্দি
অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ‘রাক্ষস’। তবে ধরা পড়ার আগে রেকর্ড গড়া হয়ে গিয়েছে তার। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তবে সে ধরা দিয়েছে পুলিশের জালে। একা নয়, সঙ্গে তার দুই শাগরেদকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ।
অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল 'রাক্ষস'। তবে ধরা পড়ার আগে রেকর্ড গড়া হয়ে গিয়েছে তার। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তবে সে ধরা দিয়েছে পুলিশের জালে। একা নয়, সঙ্গে তার দুই শাগরেদকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। শুক্রবার মাঝরাতে তারা ধরা পড়ার পর পুলিশ খানিক স্বস্তি পেয়েছে। কারণ বেশ কিছুদিন ধরেই 'রাক্ষস' পুলিশের ঘুম ছুটিয়ে ছেড়েছিল।
এই 'রাক্ষস' আসলে শহরের কুখ্যাত চোর। 'রাক্ষস' নামেই সে বেশি পরিচিত। আসল নাম রাজেশ চৌধুরী। ইতিমধ্যেই চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছে 'রাক্ষস'। নয় নয় করে চুরিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে 'রাক্ষস' রাজেশ চৌধুরী। রাজেশের দুই শাগরেদ সুদেব দাস ও রাজু দাসও ধরা পড়ে গিয়েছে পুলিশের জালে।
এর আগে মিথে, স্পাইডারম্যান, রাহাবাবুকে পাকড়াও করে সাফল্য পেয়েছিল পুলিশ। এবার 'রাক্ষস'গণকে একসঙ্গে ধরে বিরাট সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত 'রাক্ষসে'র বাড়ি পাতিকলোনিতে। আর সুদেবের বাড়ি টিকিয়াপাড়ায়, রাজু মাটিগাড়ার বাসিন্দা। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল তিন 'রাক্ষস'। কিন্তু বিশে কিছুদিন ধরে তারা পুলিশকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছিল। ধৃতদের কাছে চুরির জন্য দরজা ভাঙার নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজেশ সরকারি স্কুলে পড়ত। কিন্তু সংসারে ছিল অভাব। এরই মধ্যে সে চুরিতে হাত পাকিয়ে ফেলে।
ছোটোখাটো আকৃতির রাজেশ সহজেই ফাঁক পেলেই নিজেকে গলিয়ে নিয়ে পালাতে ওস্তাদ। আর হাতটানের অভ্যাস তো ছিলই। দুই ওস্তাদিকে কাজে লাগিয়ে সে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল থেকে শুরু করে সাইকেল-বাইকও। শুক্রবার রাতে দুই শাগরেদকে নিয়ে সে গিয়েছিল শক্তিগড়ে চুরি করতে। কিন্তু এবার আর সফল হয়নি 'রাক্ষস'-এর অভিযান। টহলদারি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে ও তারা দল।