বাংলায় হিংসার ঘটনা 'রাজ্য সরকারের মদতপুষ্ট', রাজনাথকে দেওয়া রিপোর্টে জানাল বিজেপির প্রতিনিধি দল
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপির পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল হিংসার এই ঘটনাকে 'রাজ্যসরকারের মদতপুষ্ট হিংসা' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে ইসলাম মৌলবাদী দলের বসবাস রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিতে তাঁরা ভীত সন্ত্রস্ত।
বিজেপি-র বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত হয় সন্দেশখালির ধামাখালিতে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি, দু'পক্ষের মারামারিতে জখম হন অন্তত ২৬ জন। এর পরই এই ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই বিজেপির প্রতিনিধি দলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলে সহসভাপতি মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বাম আমলের চেয়েও খারাপ হয়েছে। শাসক দল যেভাবে সরকারি ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে বিরোধী দলের উপর আক্রমণ চালাচ্ছেন এবং হেনস্থা করছে তা নিন্দনীয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
গত ৩১ মে বাংলার পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
প্রতিনিধি দল ঘুরে আসার পর পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠন দেখভালে যিনি দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং এই পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছিলেম, রাজনাথ সিং শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ নেবেন। ওখানে বিজেপি কর্মীরা মরছে। দল চুপচাপ বসে দেখবে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে সংযত হতেই হবে। তাদের অত্যাচার থামাতেই হবে।
প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট প্রসঙ্গে নাকবি জানান, রিপোর্টে আমরা জানিয়েছি বাংলা যে সব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা রাজ্যসরকারের মদতপুষ্ট। বিজেপির উপর যে গুন্ডাদের হামলা করেছিল রাজ্যসরকার তাদের রক্ষা করতে চাইছে, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বাংলায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বধীন সরকারের আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
বিজেপি সাংসদদের প্রতিনিধি দলের সদস্য মীনাক্ষি লেখি,বাবুল সুপ্রিয়,সিদ্ধার্থ নাথ সিং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ বিষয়ে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়েই নিজেদের পরামর্শ জানিয়েছেন তাঁরা।