সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার আইনত অধিকার আছে কি! কী জানাল হাইকোর্ট
মামলায় সবার আগে জানা দরকার ডিএ পাওয়ার আইনত অধিকার রয়েছে কি না। তা বিবেচনার পরই এই মামলার রায় দান করা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন বিচারপতি।
সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার আইনত অধিকার আছে কি না, সেটাই আগে বিবেচ্য। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মামলায় সবার আগে জানা দরকার ডিএ পাওয়া আইন অধিকার রয়েছে কি না। তা বিবেচনার পরই এই মামলার রায় দান করা যুক্তিযুক্ত বলে তিনি মনে করেন। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন ডি এ মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে।
বিচারপতি কেন তুললেন এই অধিকারের প্রসঙ্গ? তাঁর যুক্তি, গত বছর নভেম্বর মাসে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে এই মামলাটি দায়ের হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে স্যাট জানিয়ে দেয় ডিএ দেওয়ার ব্যাপারটা সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টে মামলা হয়।
তাই বিচারপতি মনে করেছেন, হাইকোর্টের আগে দেখে নেওয়া উচিত ডিএ পাওয়ার আইনত অধিকার আছে কি না! এই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে ওঠার পর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, সরকারি কর্মীদের ডিএ বকেয়া নেই। তারপর এদিন মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী আমজাদ আলি এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। তারপরই দিনক্ষণ স্থির হয়।
এর আগে পৃথক একটি ডিএ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে হয়েছিল। সেই মামলায় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার ১৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জমা দিয়েছিল। তারপর রাজ্য সরকার জানায় সরকারী কর্মীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। মামলাকারী সংগঠনের পক্ষে জানানো হয় ৪৮ মাসের বকেয়া তো রয়েই গেল তার কী হবে। সেই প্রশ্নের এখনও সমাধান হয়নি। তার মধ্যেই পৃথক এই মামলায় প্রশ্ন উঠে পড়ল ডিএ পাওয়ার অধিকার নিয়ে।
বিচারপতির নির্দেশে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে টানা ডিএ সংক্রান্ত মামলায় শুনানি চলবে। এই শুনানি শেষেই ডিএ রায় মিলবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকারী কর্মচারী সংগঠনগুলি।