করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্য বিভাগ
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নোভেল করোনাভাইরাস রোগ নিয়ে সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে যদি কোনও রোগী ভর্তি হয় তবে যেন তা স্বাস্থ্য বিভাগকে রিপোর্ট করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে, যেখানে আলাদা ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে এই রোগের চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং পদ্ধতি চালু করা হয়ে গিয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চিন থেকে আগত, বিশেষ করে উহান শহর ও হুবেই প্রবেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও যাত্রীর যদি জ্বর, সর্দি ও শ্বাস–প্রশ্বসের সমস্যা দেখা দেয় তবে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে সবধরনের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে চিন থেকে কোনও যাত্রী সর্দি–কাশি নিয়ে শহরে প্রবেশ করলে তাঁকে যেন সরাসরি বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলকাতা বিমানবন্দরের পর শহরের বন্দরও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব জাহাজ বাইরে থেকে এই শহরে আসছে, সেই জাহাজগুলিকে স্ক্রিনিং করানো হবে যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। আধিকারিক ও ক্রু সদস্যদের জন্য তাপমাত্রা মাপার স্ক্যানার বসানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়ার পরই এই উদ্যোগ নেয় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব বিদেশি জাহাজগুলির স্ক্রিনিং করবে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশি জাহাজের আধিকারিক ও ক্রু সদস্যদের স্ক্রিনিং করা হবে। তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা না গেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এই স্ক্রিনিং পদ্ধতি চালু হয়েছে কলকাতা ডকে, বজবজ ও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে। এছাড়াও কলকাতা বন্দরের পক্ষ থেকে কর্মী–আধিকারিকদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য টুপি, মাস্ক, চশমা, গ্লাভস এবং জুতো দেওয়া হয়েছে। যাঁরা স্ক্রিনিংয়ের কাজ করবে তাঁরা যাতে কোনওভাবে সংক্রমিত না হয় তার জন্যই এই এই জিনিসগুলি দেওয়া হয়েছে।