নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা
নয়া
নাগরিকত্ব
আইন
ও
এনআরসির
বিরুদ্ধে
উত্তাল
গোটা
দেশ।
জাত,
ধর্ম,
বর্ণ,
লিঙ্গ
ভুলে
প্রতিবাদে
রাস্তায়
নেমেছে
আট
থেকে
আশি।
পশ্চিমবঙ্গের
বিভিন্ন
জেলায়
জেলায়
প্রতিদিনই
সংগঠিত
হচ্ছে
একাধিক
মিছিল
কিংবা
বিক্ষোভ
কর্মসূচি।
থেমে
নেই
পাহাড়ও।
দার্জিলিং
থেকে
শুরু
করে
কালিম্পং,
কার্শিয়াং,
মিরিকের
একাধিক
জায়গায়
এদিন
এনআরসি
ও
সিএএ
এর
বিরুদ্ধে
প্রতিবাদে
নামেন
পাহাড়ি
জনগোষ্ঠীর
মানুষেরা।
এদিনের মিছিল চলাকালীন বিনয় তামাং বলেন, "আমরা নয়া নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ডুয়ার্স সহ পার্বত্য অঞ্চল গুলিতে ইনার লাইন পারমিট প্রত্যাবর্তনেরও দাবি জানিয়েছি। এমনকি সিকিমও ইনার লাইন পারমিটের জন্য দাবি জানাচ্ছে যেহেতু এই অঞ্চলগুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং আন্তর্জাতিক সীমারেখার পাশেই অবস্থিত।"
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে তারা ডুয়ার্স এবং পাহাড়ি অঞ্চলে কোনও শরণার্থীদের বসবাস করতে দেবেনা। এদিন ট্রেড ইউনিয়নের নেতা জে বি তামাং বলেন যে পাহাড়ের ৯৯ শতাংশ ভূমিহীন, বেশিরভাগ চা বাগানে কাজ করে। কোথায় পাবো জমির দলিল ? তাছাড়া আদালতে মামলা লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থই বা কোথায় পাবো ?" অসমে এনআরসির মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ গোর্খা জনগোষ্ঠীর মানুষ নাগরিকত্ব হারিয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।
তবে তামাং এদিন তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তামাং বলেন, "বিজেপি সরকার এতদিন গোর্খাদের শুধুমাত্র ভোট ব্যঙ্ক হিসাবেই দেখে এসেছে।" দার্জিলিং বাসীর জন্য গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও কেন তা দেওয়া হচ্ছেনা সে প্রশ্নও করেন তিনি।
এদিনের এই মিছিল বাতাসিয়া লুপ থেকে শুরু হিয়ে চকবাজারের একটি জনসভায় গিয়ে শেষ হয়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতন।