রাজ্যের প্রথম করোনা বাহক সুস্থ! নেগেটিভ রিপোর্টে আশ্বস্ত বাংলা দেখছে আশার আলো
রাজ্যের প্রথম করোনা বাহক সুস্থ! নেগেটিভ রিপোর্টে আশ্বস্ত বাংলা দেখছে আশার আলো
করোনার থাবা তাঁর মাধ্যমেই পড়েছিল বাংলায়, তাঁর কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় ক্ষিপ্ত ছিল রাজ্যবাসী। সেই প্রভাবশালী বাবা-মায়ের তরুণ পুত্র করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় করোনা ছড়িয় পড়ার আশঙ্কা ছিল, তবে গুরুসহায় তা হয়নি। এখন ওই তরুণ সুস্থ হয়ে ওঠা বর্তমান পরিস্থিতিতে সুখবর।
করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট
রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো দেখছে রাজ্য। ১৭ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে আমলা-পুত্র ভর্তি হয়েছিলেন বেলেঘাটা আইডিতে। ১২ দিনের মাথায় তাঁর সুস্থতার খবর মিলেছে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁর নমুনার।
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বার টেস্টের অপেক্ষা
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আরও একবার তাঁর করোনা টেস্ট হবে। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বার টেস্টেও তাঁর রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তবে তিনি করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। আর তা যদি হয়, করোনা চিকিৎসায় ওই তরুণের সুস্থ হয়ে ওটা চিকিৎসকদের সাফল্য বলেই ধরা হবে।
হাসপাতালেই আরও ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন
নাইসেডে পাঠানো তাঁর রিপোর্ট এদিন নেগেটিভ আসে। ফের তাঁর নমুনা পাঠানো হবে নাইসেডে। এখন সেই রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা। রিপোর্ট নেগেটিভ আসা যেমন করোনা চিকিৎসায় পজিটিভ সাইন, তেমনই রাজ্যের পক্ষেও তা মঙ্গলজনক। তবে এখনই তাঁর বাড়ি ফেরা হবে না। হাসপাতালেই ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে তাঁকে।
দায়িত্বজ্ঞানহীন আমলা-পু্ত্রের সুস্থতায় আশার আলো
উল্লেখ্য, ওই আমলা-পুত্র ইংল্যান্ড থেকে ফিরে বেলেঘাটা আইডিতে গিয়ে পরীক্ষা না করিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তাঁর এই কাণ্ড-কারখানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, রাজ্যবাসীও চরম ক্ষুব্ধ হন। মা আমলা, বাবা চিকিৎসক, তারপরও কী করে ওন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন অনেকেই। তবে তা ছড়িয়ে না পড়ায় আশ্বস্ত হন সবাই। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন, এটাকে করোনা মোকাবিলায় ভালো দিক বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।