একই গাছের ডালে ঝুলছে কাকা-ভাইঝির দেহ, প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় আত্মঘাতী?
দু’জনের মধ্যে এমন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যা সমাজ মেনে নেবে না। তারই জেরে তারা বেছে নেয় এই মৃত্যু। পুলিশ জানতে পেরেছে, ফাঁস লাগানোর আগে তারা বিষ খেয়েছিল।
জলপাইগুড়ি, ২৮ ডিসেম্বর : একই গাছের ডাল থেকে ঝুলছে দুই কিশোর-কিশোরীর দেহ। রহস্যজনক এই জোড়া মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে। মৃতরা সম্পর্কে কাকা-ভাইঝি। এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। তবে কি প্রেমের সম্পর্কের জেরেই এই আত্মহত্যা? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এই মৃত্যুর পিছনে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দু'জনের মধ্যে এমন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যা সমাজ মেনে নেবে না। তারই জেরে তারা বেছে নেয় এই মৃত্যু। পুলিশ জানতে পেরেছে, ফাঁস লাগানোর আগে তারা বিষ খেয়েছিল। পাকুড় গাছে থেকে ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে তাদের মৃত্যুর কারণ।
দুজনেই একই স্কুলে পড়াশোনা করে। কাকা ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র, আর ভাইছি পড় ক্লাস নাইনে। তারা একসঙ্গেই স্কুলে যেত, ফিরতও একসঙ্গে। এ থেকে তাদের মধ্যে অন্য কোনও সম্পর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের সম্পর্ক বাড়িতে মেনে নেবে না বা বাড়ির কাউকে এই সম্পর্কের বিষয়ে জানানোও যাবে না, এই টানাপোড়েনর মধ্যে পড়েই তারা মৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন হতে পারে, বাড়িতে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে গিয়েছিল। তাই লজ্জায় তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সরকার পাড়ার বাসিন্দা, পাশাপাশি দু'টি বাড়িতে থাকে তারা। দু'টি বাড়িতেএ এখন শোকের ছায়া। বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে পাকুড় গাছে উদ্ধার হয়েছে দুই বাড়ির ছেলেমেয়ের দেহ। সন্ধ্যা থেকেই তারা নিখোঁজ ছিল। একটু রাত বাড়তে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাতেই উদ্ধার করা হয় দেহ।
তবে পুলিশ খুনের তত্ত্বও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। গলায় দড়ি দিয়েই আত্মহত্যা করবে বলে স্থির করলেও, কেন তারা বিষ খেয়েছিল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তারা বিষ খেয়েছিল, নাকি খাওয়ানো হয়েছিল , তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে গলায় দড়ি দেওয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।