বিপন্ন ডবলুবিসিএস-এর ভবিষ্যৎ! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে চাকরি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস
২০১৭ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস এক্সামিনেশন মেনস-এর ফল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে এসেছে , আর তার আগে যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে। এ যেন রাজ্য সিভিল সার্ভিসের একটা কালো অধ্য়ায়।
বাজার এখন সরগরম ডবলুবিসিএস-এর চাকরি কেলেঙ্কারিতে। ২০১৭ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস এক্সামিনেশন মেনস-এর ফল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে এসেছে , আর তার আগে যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে। এ যেন রাজ্য সিভিল সার্ভিসের একটা কালো অধ্য়ায়। ডবলুবিসিএস-এর দুর্নীতি নিয়ে বহু সময়েই বহু অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, এবার যা হচ্ছে তা রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ইতিহাসে কোনও দিন ঘটেছে কি না সন্দেহ।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার হাতে যে সব তথ্য-প্রমাণ এসেছে তাতে হয়তো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি নিয়ে কোনও নতুন মহাভারত লিখতে হবে। কারা করছেন এই সব দুর্নীতি? পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই সব মানুগুলো কারা? কাদের প্রশ্রয়ে এক সাংবধিনিক প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে? কী ভাবে কলমের আঁচড়ে বদলে যাচ্ছে নম্বর? কোথায় যাচ্ছে ডবলুবিসিএস-এর একটা নিয়োগের আশায় দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে চলা তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন? এত সহজেই কি পা-মাড়িয়ে চলে যাওয়া যায় রাজ্যে লাখো-লাখো তরুণ-তরুণীর দিনের পর দিন লালন করে রাখা বিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নটাকে? কী বলছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন? কী বলছেন পিএসসি-র কর্মীরা? সমস্ত তথ্য-প্রমাণই এসেছে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার হাতে।
যে ভাবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করা হচ্ছে তাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এক নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলনে সামিল হয়েছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কর্মীরা। কোনও রাজনৈতিক দলের রঙ নয় আজ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক মর্যদা ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সমস্ত কর্মীরা।
যে ভাবে বিসিএস-এর এক পরীক্ষার্থী যিনি প্রিলিমিনারির পরীক্ষার কৃতকার্য হননি তাঁকে জোর করে বি সি এস অফিসার বানানোর তোড়জোড় চলছে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন কর্মীরা। আজ সমাজের বুকে চাকরির হাহাকার। রেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা- যে সব স্থানে আগে ভুরি-ভুরি চাকরির বিজ্ঞাপন বের হত এখন সে সব অধরা। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের গুটিকতক চাকরি এখনও এই সমাজের বুকে কিছু তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের আশা। অথচ তাকেই কলুষিত করার চক্রান্ত হচ্ছে। মেরুদণ্ড ভাঙার চেষ্টা চলছে রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের।
পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি এতটাই চরমে যে আন্দোলনে নামা নব্বই শতাংশ কর্মীকে বদলির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী অভিযোগ, অর্থদফতরের মাধ্যমে এই কর্মীদের অন্যকোনও বিভাগে ট্রান্সফার করানোর অর্ডার বের করা হয়ে গিয়েছে। আন্দোলনে নামা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ৯৫ শতাংশ কর্মীরই অনুযোগ আজ যদি এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ধরে রাখার জন্য আওয়াজ না ওঠে তাহলে হয়তো সৎপথে চাকরির পাওয়া নিয়েই আস্থা হারিয়ে ফেলবেন লাখো লাখো তরুণ-তরুণী।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা অনুধাবন করতে পারছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সেইসব কর্মীদের অন্তরের যন্ত্রণাকে। যারা নিজেদের কর্মজীবনকে বিপন্নতার মধ্যে দাঁড় করিয়েও আজ মেরুদণ্ড খাড়া করে দাঁড়িয়েছেন এক অসম লড়াইয়ে। ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলায় এক এক করে প্রকাশিত হবে সেই সব দুর্নীতির কালো কাহিনি। এটা তো সবে প্রিল্যুড। বিসিএস দুর্নীতির কাহিনি জানতে নজর রাখুন ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পেজে।