মুখ্যমন্ত্রী মমতা চান নিয়মিত ভাবে টেট পরীক্ষা এবং নিয়োগ হোক! ফলপ্রকাশ করে বললেন পর্ষদ সভাপতি
প্রাথমিক টেটের ফল ঘোষণা প্রকাশ হল। ২০১৭ সালে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি সেই পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার ১১ মাসের মধ্যেই এই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হল পর্ষদের তরফে। জানানো হয়েছে, পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে, ছ
প্রাথমিক টেটের ফল ঘোষণা প্রকাশ হল। ২০১৭ সালে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি সেই পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার ১১ মাসের মধ্যেই এই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হল পর্ষদের তরফে। জানানো হয়েছে, পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে, ছাত্র ছাত্রীদের রোল নম্বর ও জন্মের তারিখ দিয়ে সার্চ করলেই ফলাফল জানা যাবে।
দীর্ঘদিন পর এই ফলাফল ঘোষণা হওয়াতে চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রে নয়া পথ খুলে গেল পরীক্ষার্থীদের কাছে।
আজ সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, আইনি জটিলতা মুক্ত স্বচ্ছ ফলাফল প্রকাশ করতেই একটু সময় লেগেছে পর্ষদের। প্রথমে ড্রাফট প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার সামনে এল চূড়ান্ত ফল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
ক্লাস ওয়ান টু ক্লাস ফাইভের জন্যে এই টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর তা নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন। কিন্তু দীর্ঘ আইনি জটিলতায় প্রক্রিয়াটি আটকে ছিল। অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে প্রকাশিত হল প্রাথমিক টেটের ফল।
এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশ করেছিলেন মাত্র ৯ হাজার ৮৯৬ জন জন। অনেক বিচার বিবেচনা করে এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
তিনি জানিয়েছেন, যারা এদিন পাশ করেছেন তাঁরা সবাই প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক হিসাবে কাজ যোগ দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত। বাকি কাজ খুব শিঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন মানিকবাবু।
অন্যদিকে সাংবাদিক বৈঠক শেষে পর্ষদ সভাপতি আরও জানিয়েছেন, নিয়মিত ভাবেই টেট পরীক্ষা হোক এবং এর মাধ্যমে নিয়োগও চলুক। এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মানিকবাবুর মতে, টেট পাস করলে শিক্ষক হিসাবে কাজের জন্যে আবেদন করা যাবে। এর সঙ্গে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার হিসাবে রয়েছে বলেও দাবি মানিকবাবু।
অন্যদিকে গত বছর একাধিক ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক হাজার নিয়োগ হতো। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়া। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন ঠিক ভাবে কাজ হয় না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এমনকি মামলাকারীদেরও একহাত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের।