মমতার প্রশাসনে অনাস্থা! মুকুলে আস্থা রেখে অনশন তুললেন টেট-উত্তীর্ণরা, নয়া জল্পনা
টেট উত্তীর্ণদের অনশন মঞ্চে মুকুল রায়ের উপস্থিতি নয়া জল্পনার সৃষ্টি করল। শুধু উপস্থিত হওয়ায়ই নয়, মুকুল রায়ের আশ্বাসে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অনশনও তুলে নেন।
মালদহে অনশন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জেনেশুনেও নীরব থেকেছেন তাঁদের চাকরির প্রশ্নে। এরপরই তাঁদের মঞ্চে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে নয়া জল্পনার সৃষ্টি করল। শুধু উপস্থিত হওয়ায়ই নয়, মুকুল রায়ের আশ্বাসে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অনশনও তুলে নেন।
[আরও পড়ুন:লক্ষ্য ২০১৯-এর নির্বাচন! সনিয়া ডাকে ৩ নতুন দল-সহ হাজির ২০ দলের প্রতিনিধি]
মুকুল রায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাস দেন, তাঁদের যাবতীয় আন্দোলনে পাশে থাকবে বিজেপি। শুধু রাজনৈতিক বা আইনি লড়াইয়েই নয়, এই লড়াই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতেও সমস্তরকম সহযোগিতা করা হবে। মুকুল রায়ের এই আশ্বাস পেয়ে চাকরিপ্রার্থীরা ২৫ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার করে নিত্ মনস্থ করেন।
রাজনৈতিকমহল মনে করছে, টেটের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে পাথেয় করে মালদহের মাটিতে দলের ভিত শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। দুঁদে রাজনীতিবিদ মুকুল রায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই সুযোগটাই কাজ লাগালেন। তিনি এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, 'এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী একজন 'ইনস্ট্রুমেন্ট' মাত্র। আসল তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
মুকুলের কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সবাই-ই উল্টানো কচ্ছপ। কাল যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, তাহলেই এদের চাকরিতে নেওয়া হবে। আসলে এই রাজ্য সরকার হল একরোখা। এরা সিপিএম জমানাকেও চাপিয়ে গিয়েছে।' বুধবার সকাল নটা নাগাদ জেলা প্রশাসনিক ভবনে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন মুকুল রায়। অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর আশ্বাসে অনশন তুলে নেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ না প্রশাসন আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন এতদিন। এদিন মুকুল রায় উপস্থিত হওয়ার পরই পরিস্থিতি মোড় নেয় অন্যদিকে। ২০০৯-১০ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি না পেয়ে অনশন চালাচ্ছিলেন। ১৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন এই অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে।