দু’ভাগ মোর্চা! বিমল-বিনয়পন্থীদের মিছিল-যুদ্ধে সরগরম কার্শিয়াং, কী হল তারপর
নবান্নের সর্বদল বৈঠক থেকে ফিরে পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন বিনয় তামাং। তারপর অবশ্য বিমল গুরুং শিবিরের পাল্টা হুঁশিয়ারিতে পাহাড়ে বনধ ওঠেনি। ফের পাহাড়ে বনধের বিরোধিতায় সামিল হলেন বিনয় তামাং-রা। এবার পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নামলেন মোর্চার বিনয় তামাং-পন্থীরা।

মঙ্গলবার একই সঙ্গে পাহাড়ে জোড়া মিছিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মহিলা মোর্চা বনধের সমর্থনে মিছিল করে কার্শিয়াং-এ। আবার বিনয় তামাংপন্থীরা মিছিল করে বনধের বিরোধিতায়। পাহাড়ে মোর্চার দুই গোষ্ঠীর পরস্পর বিরোধী দাবিতে সরগরম হয়ে ওঠে কার্শিয়াং। তবে এদিন কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর এই পরস্পরবিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে।
এদিন কার্শিয়াং-এ মিছিল করে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বনধ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান মোর্চার বিনয় তামাংপন্থীরা। বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে মোর্চা থেকে বহিষ্কৃত সদস্য অনীত থাপার নেতৃত্বে মিছিল হয়। আগে থেকেই এই মিছিলের কথা ঘোষণা হওয়ায় মনে করা হয়েছিল- এদিন কার্শিয়াংয়ে বনধ উঠতে পারে।
কিন্তু বিনয়-পন্থীদের আগেই বিমল গুরুং গোষ্ঠীর পক্ষে মহিলা মোর্চা মিছিল করে বনধ চলবে বলে দাবি জানায়। ফলে এদিন দোকান-বাজার খোলেনি কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ে দু-টি মিছিল সমান্তরাল ভাবে চলতে থাকে। বিমল গুরুংয়ের সমর্থনে স্লোগান চলতে থাকে। স্লোগান দেওয়া হয় বনধের সমর্থনে। বিনয় তামাংপন্থীদের মিছিলে অবশ্য কোনও স্লোগান দেওয়া হয়নি। স্রেফ তাঁদের তরফে দাবি জানানো হয় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বনধ স্থগিত রাখার। উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
এদিকে দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর জানান, দোকান খুললে প্রশাসনের তরফে সমস্তরকম সাহায্য করা হবে। অতএব ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে দোকান-বাজার খুলতে পারেন। কার্শিয়াং ছোট জায়গা। এই জায়গায় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়া সমস্যা হবে না প্রশাসনের তরফে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার মিরিকে বনধের বিরোধিতায় মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মিছিলে পা মেলান মিরিকবাসীরাও। শান্তি মিছিলে দলীয় পতাকা নয়, সাদা পতাকা নিয়ে মিছিল হয়। এই মিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন। গোচা মিরিক প্রদক্ষিণ করে এই মিছিল।