হাতিয়ার কন্যাশ্রী, হাসনাবাদে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন
বাল্যবিবাহ নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র, সরকারি বেসকারি এতো সচেতনতা রয়েছে সেই বাল্যবিবাহ তার সত্বেও শহর থেকে গ্রামে কোণে কোণে বাল্যবিবাহের সিদ্ধান্ত থাবা বসাচ্ছে পরিবারের।
বাল্যবিবাহ নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র, সরকারি বেসকারি এতো সচেতনতা রয়েছে সেই বাল্যবিবাহ তার সত্বেও শহর থেকে গ্রামে কোণে কোণে বাল্যবিবাহের সিদ্ধান্ত থাবা বসাচ্ছে পরিবারের। আর এটা ঘটছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। কখনও প্রশাসনের নজরদারিতে বিয়ে আটকানো সম্ভব হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে নাবালিকার। তবুও বাল্যবিবাহ রুখতে কড়া প্রশাসন।
শুক্রবার তেমনি ঘটনার নিদর্শন দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রামে কন্যাশ্রীকে হাতিয়ার করে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই নাবালিকা হাসনাবাদের খরমপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়ে ছিল তার পরিবার। পরিকল্পনা করে সুপ্রিয়া কর্মকার নামে নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল তার বাবা-মা। নাবালিকার পরিবার থেকে জানা যায়, সব ব্যবস্থা ছিল শেষ পর্যায়ে।
তার পরেই খবর যায় চাইল্ড লাইনে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । এদিন চাইল্ড লাইন ও হাসনাবাদ বিডিওর উদ্যোগে কন্যাশ্রী প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি টিম পৌঁছে যায় ওই নাবালিকার বাড়িতে। এরপর নাবালিকার পরিবারের সাথে কথা বলেন। হাসনাবাদ বিডিও অফিসের তরফ থেকে ওই নাবালিকার পরিবারকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়।
পরবর্তীকালে সময় ওই নাবালিকার পিতা মুচলেকা দিয়ে আঠারো বছর বয়স হলে তার কন্যাকে বিবাহ দেবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হোন। এবং ওই নাবালিকা আবার স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে চায় এবং কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের কথা নিজে শুনে তার মত ঘুরে যায়। কিন্তু প্রশ্ন ওই হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত এত নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছে কেন তাদের পরিবার? এই পর্যন্ত ৬১ জন নাবালিকার বিয়ে আটকানো গেছে এমনটাই দাবি হাসনাবাদ বিডিওর।