হাসপাতাল থেকে মৃত মেয়ের দেহ নিয়ে সটান ওঝার বাড়ি, দুদিন ঝাড়ফুঁকেও ফিরল না প্রাণ
সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। ডাক্তার জবাব দিয়ে দিলেও বিশ্বাস হয়নি বাড়ির লোকজনের। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস মেয়ে ঠিক জেগে উঠবে। হাসপাতালে থেকে মেয়ের দেহ ফিরিয়ে এনে সটান ওঝার বাড়ি ছুটেছিলেন যোগেশ মর্মু। ওঝাও আশ্বাস দিয়েছিলেন ঝাড়ফুঁক করলেই বেঁচে উঠবে মেয়ে। দু-দিন মৃতদেহ আটকে রেখে চলে ঝাড়ফুঁক।

কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মেয়ের প্রাণ ফিরে আসেনি নিথর দেহে। রবিবার সারা দিন-রাত উঠোনে পড়েছিল দেহ। সেখানে পূজা-প্রার্থনা, ঝাড়-ফুঁক চলে। শেষমেশ সোমবার সকালে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। সেখানে ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য করা হয় বছর ১৭-র কিশোরীর দেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বর্ধমান কালনার অকালপৌষ গ্রামে।
শনিবার রাতে যোগেশ মুর্মুর মেয়ে কবিতাকে সাপে কামড়ায়। রাতেই তাকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ডাক্তারদের কথা বিশ্বাস না করে মৃতদেহ নিয়ে সোজা ওঝার কাছে চলে যায় তারা। রাতভর সেখানে চলে ঝাড়ফুঁক। এরপর বাড়িতে এনে পূজার্চনা-টোটকা চলে। সোমবার মৃতদেহে পচন ধরে গেলে ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
মৃত কিশোরীর বাবার কথায়, মেয়েকে বাঁচানোর জন্যই এই চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। এদিকে হাসপাতাল থেকে কী করে লুকিয়ে দেহ নিয়ে চলে গেলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।