শিকেয়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সমাধান সূত্র খুঁজতে মমতা সমীপে ৫ চিকিৎসকের দল
রাজ্য স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে তা ক্রমেই আরও জটিল থেকে জটিলতর পরিস্থিতি ধারণ করেছে। গত পাঁচ দিন ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা শিকেয় উঠেছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে তা ক্রমেই আরও জটিল থেকে জটিলতর পরিস্থিতি ধারণ করেছে। গত পাঁচ দিন ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা শিকেয় উঠেছে। কলকাতা থেকে জেলা সব জায়গার সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোনওভাবেই সুষ্ঠু পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। নামমাত্র কয়েকটি জায়গায় আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা চালু থাকলেও সিনিয়র থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠেছে।
এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তাররা নাছোড়বান্দা। সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যার ফলে এনআরএস, ক্যালকাটা মেডিক্যাল, এসএসকেএম, আরজি কর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে দলে দলে চিকিৎসকরা ইস্তফা দিচ্ছেন।
এককথায় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সঙ্কটের মুখে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামলেন রাজ্যের সিনিয়র চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। রয়েছেন পাঁচজন চিকিৎসক। যার মধ্যে অন্যতম তৃণমূল নেতা নির্মল মাজি।
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সমস্যার জট কাটিয়ে রাজ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, সেই সম্পর্কে তাঁরা আলোচনা করতে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের তরফে হাসপাতালে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজে গিয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফোনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। তবে তাঁরা তা অগ্রাহ্য করে।
এরপর আর মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে এনআরএস-এর বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন না। ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে নয়, সশরীরে এসে এখানে ক্ষমা চাইতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা যতক্ষণ না তিনি করছেন ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে।