প্রশিক্ষণ পর্বে রাধুনিরা, স্কুলের মিডডে মিলের রান্নায় শিক্ষিকারা
স্কুলের রাধুনিরা নেই,বলে কি খুদে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল বন্ধ থাকবে? অভুক্ত থাকবে তারা? না, স্কুলের শিক্ষিক শিক্ষিকারাই কেটে বেটে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের।
স্কুলের রাধুনিরা নেই,বলে কি খুদে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল বন্ধ থাকবে? অভুক্ত থাকবে তারা? না, স্কুলের শিক্ষিক শিক্ষিকারাই কেটে বেটে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের। এমনই মানবিক রূপ ফুটে উঠল রায়গঞ্জের হাতিয়া প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের মিড মিল রাঁধুনিদের শুরু হয়েছে পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ পর্ব। স্বাভাবিক কারনেই এই পাঁচদিন বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্না বন্ধ থাকারই কথা ছিল। কিন্তু ছোটো-ছোটো শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে শিক্ষকেরাই কাজে হাত লাগালেন। এরপর শিশুরা সেই খাবার খেয়ে পরিতৃপ্তির হাসি দেখা গেল তাদের মধ্যে। শিক্ষকদের এই স্নেহশীল মানসিকতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলা শিক্ষা দপ্তরের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও।
উল্লেখ্য স্কুল ছুট পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের আঙিনায় ফিরিয়ে আনতে এবং দরিদ্র পরিবার থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সরকারী বিদ্যালয়গুলিতে চালু রয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাফল্য মিলেছে হাতে হাতে। রায়গঞ্জ ব্লকের হাতিয়া প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের পাঁচদিনের প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে সম্প্রতি। রাধুনিরা না থাকায় মিড ডে মীল রান্না বন্ধের উপক্রম। কিন্তু ছোটো ছোটো পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই কয়েকটা দিন রাধুনিদের অনুপস্থিতিতে দুটি বিদ্যালয়েই রান্নার দ্বায়িত্ব তুলে নেন শিক্ষকেরা। বাজার করা,সব্জি কাটা,রান্না করা, বাসনপত্র ধোওয়া সব কাজই নিজেদের হাতে করছেন তারা। শিক্ষকদের এই ভূমিকায় খুশী পড়ুয়ারাও। তারা জানালো," মাস্টারমশাই রা নিজেরাই একটা দিন রান্না করে আমাদের খাওয়াচ্ছেন। বাড়িতে ঠিকমতো খাবার খেতে পাই না। স্কুলে এসেই পেট ভরে খেতে পাই। রান্নার মাসিরা না থাকায় ভেবেছিলাম খাওয়া জুটবে না। কিন্তু শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় খাবার নিয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। অন্যদিকে দিকে দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনার্দন গোস্বামী ও ভাস্কর মহালানবিশ বলেন," আমাদের বিদ্যালয়ের শিশুদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। বাড়িতে খাওয়ার খুব কষ্ট। তারা বিদ্যালয়ে এসে খাবার না পেলে অসুবিধায় পরতো। নিজেরাই রান্না করে এই কটা দিন ওদের পরিবেশন করছি।