আরটিই আইন মেনেই শিক্ষক নিয়োগ, ফাঁপরে ৬২ হাজার চাকরিপ্রার্থী

এই মুহূর্তে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৫২ হাজার শিক্ষক পদ খালি। আর উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ১০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি পাওয়ার কথা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও চাকরি পাননি অন্তত তিন হাজার ছেলেমেয়ে। এঁরা তাই গত কয়েকদিন ধরে অনশন চালাচ্ছেন। পাশাপাশি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন আন্দোলনও করছে। গতকাল বিজেপি রাজ্য দফতরে এই আন্দোলনকারীরা স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সব শুনে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় আইন মেনেই এ বার রাজ্য সরকারকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা আর চাকরি পাবেন না। এ কথা শুনে ছাত্র সংগ্রাম ঐক্য মঞ্চের সভাপতি প্রদ্যুৎ হালদার বলেন, "রাজ্য সরকার ৩৬,১৪০ জনকে নিয়োগ করেছে বলে দাবি জানিয়েছে। তাই যদি হয়, তা হলে তো এদের অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই। তা হলে আমাদের মতো তিন হাজার ছেলেমেয়েকে কী হিসাবে বাইরে রাখা হচ্ছে?" এ কথা শুনে স্মৃতি ইরানি বলেন, এটা যদি হয়, তা হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সচিবকে নোট নিতে বলেন। অনশনরতদের আশ্বাস দিয়েছেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন ঘটনাটা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার ছাড়াও গতকাল স্মৃতি ইরানি যান বেলুড় মঠে। তিনি জানান, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে 'হেরিটেজ' হিসাবে ঘোষণা করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে নয়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য শিক্ষাবিদদের মতামত নেওয়া হবে।