প্রাথমিকে দুর্নীতি, মাধ্যমিকে মামলা, শিক্ষক নিয়োগ অনিশ্চিতই
২০১২ সালে পরীক্ষা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বছর পার করে সফল প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। একটিই তালিকা তৈরি হয়। প্রশিক্ষিত, সংরক্ষিত, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আলাদাভাবে তালিকা বানানো হয়নি। এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে কয়েকজন পরীক্ষার্থী। আদালত তখন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সোমবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলেন বিচারপতি। আশঙ্কা, ওইদিন পরবর্তী শুনানিতে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়তে পারে স্থগিতাদেশের মেয়াদ। কারণ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত। এর জেরে ঝুলে রইল কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পরিবারের আটজন সদস্যকে টেট (টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়েছেন। অথচ কালনার কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন বলে দাবি করলেও তাঁরা পাশ করতে পারেননি। বিরোধী বামফ্রন্ট এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে। এছাড়াও শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলায় টাকা নিয়ে স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এক-একজন প্রার্থীর কাছ থেকে ৪-৫ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।