ধর্ষক ও খুনি পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষককে মৃত্যদণ্ড! নৃশংস এক অপরাধের সাক্ষী হয়েছিল রাজ্য
সমাজের বিকৃত মানসিকতার অসুখটা কতটা বিস্তার করেছে তার এক উদাহরণ বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে। ২০১২ সালে নিজের বাড়িতে নাবালিকা পরিচারিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি প্রণব রায়,তাকে খুনও করে সে।
সমাজের বিকৃত মানসিকতার অসুখটা কতটা বিস্তার করেছে তার এক উদাহরণ বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে। ২০১২ সালে নিজের বাড়িতে নাবালিকা পরিচারিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি প্রণব রায়, বিকৃত কাম চরিতার্থ করার পর নাবালিকা পরিচারিকাকে খুন করতেও হাত কাঁপেনি তার। বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বুধবারই প্রণব রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল তমলুক জেলা দায়রা আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক।
পেশায় শিক্ষক প্রণব রায়। তমলুকের শালগেছিয়া গ্রামের বাসিন্টদা প্রণবের বাড়িতে কাজ করত এক নাবালিকা পরিচারিকা। তার বাড়ি ছিল উত্তরচড় শংকরআড়া গ্রামে। ২০১২ সালে প্রণবের বাড়িতে কাজে যোগ দেওয়া সেই নাবালিকা পরিচাকার দেহটা উদ্ধার হয়েছিল সে বছরেরই ২৩ মে। প্রণব প্রথমে কিছুই স্বীকার করেননি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই প্রথমে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বের হতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারণ, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় নাবালিকা ওই পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এরপরই প্রণব রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ প্রণবকে গ্রেফতারও করেছিল। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনও পেয়ে গিয়েছিল প্রণব। তারপর থেকেই মামলা চলছিল আদালতে। কিন্তু, বুধবার মামলার রায়দানে আর রেহাই পায়নি প্রণব। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত বলে জানিয়ে দেয় আদালত। আর বৃহস্পতিবার এই মামলায় প্রণবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক।
বর্তমানে যে ভাবে মহিলাদের উপর একের পর এক শারীরীক ও মানসিক অত্যাচার ও খুনের খবর সামনে আসছে তাতে এই শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও, নাবালিকা পরিচারিকার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রায়ের বিরুদ্ধে প্রণবের পরিবার উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানিয়ে রেখেছে।