নম্বর বাড়ানোর টোপে ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক! ‘সেক্স টেপ’-কাণ্ডে গ্রেফতার শিক্ষক
একের পর এক দুষ্কর্ম বেড়েই চলছিল শিক্ষকের। এতদিন লীলাক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছিল চুঁচুড়া আইটিআই কলেজকে। পাপের পাত্র পূর্ণ হতেই সাঙ্গ হল গুণধর শিক্ষকের লীলাখেলা।
গুণে ঘাটতি নেই শিক্ষকের! এক, নম্বর বাড়ানোর টোপ দিয়ে ছাত্রীদের যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা। দুই, ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন মিলনের দৃশ্য ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া। তিন, এক ছাত্রী প্রতিবাদ করায় তাঁকে অপহরণ করা। চার, দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ক্লাসরুমে তাণ্ডব চালানো।
একের পর এক দুষ্কর্ম বেড়েই চলছিল শিক্ষকের। এতদিন লীলাক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছিল চুঁচুড়া আইটিআই-কে। পাপের পাত্র পূর্ণ হতেই সাঙ্গ হল গুণধর শিক্ষকের লীলাখেলা। বুধবার সকালে হুগলি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত শিক্ষককে। এদিনই তাকে চুঁচড়া আদালতে পেশ করা হয়। হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের নাম অমিয় কুমার। এই শিক্ষক নম্বর বাড়ানোর টোপ দিয়ে কখনও ক্লাসরুমে, কখনও ল্যাবরেটরিতে ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করল বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এই কাণ্ড চালানোর পর এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অমিয় কুমারকে। শুধু যৌন সম্পর্ক স্থাপনই নয়, ভিডিও করে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এই 'সেক্স টেপ'-কাণ্ডে অন্যান্য অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ।
ধৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের চেষ্টা, প্রতারণা, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, হামলা চালানো ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে শিক্ষকের এই কুকীর্তির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় দুষ্কৃতী নিয়ে এসে কলেজে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়েই কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী অসীমা পাত্র অবিলম্বে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
শিক্ষকের অশালীন আচরণের প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষের কাছে পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগ জমা পড়তেই ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রোশ পড়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষকের। তারপর ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধরও করে ওই শিক্ষক। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শিক্ষকের সঙ্গী দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অবশেষে গুণধর শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তিতে ছাত্রছাত্রীরা। একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে যৌন লালসা মেটানোর অভিযোগ তো ছিলই, অনেককে কুপ্রস্তাবও দিয়েছিল শিক্ষক। এই সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই শিক্ষক এদিন পালানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তা আগাম বুঝতে পেরেই স্টেশন চত্বরে ফাঁদ পেতে শিক্ষককে গ্রেফতার করে।